খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) শরীয়তপুর কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান পরিচালনা করেছে। দালালের হাতে দীর্ঘদিন থেকে হয়রানী হয়ে আসা দুইজন গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়াতে সক্ষম হয়েছে অভিযান পরিচালনাকারী দুদক টিম।
জানা গেছে, শরীয়তপুর বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহায়তায় দালাল চক্র সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের পাশাপাশি কাঙ্খিত সেবা না দিয়ে বছরের পর বছর হয়রানী করে আসছে। ১০৬ নম্বরে কল করে দুদক কর্তৃপক্ষকে হয়রানীর বিষয়টি অবগত করেন একজন গ্রাহক। সেই সূত্র ধরে অভিযান পরিচালনা করে দুদক টিম।
অভিযানকালে দুদকরে হাতে আটককৃত দালাল ওবায়েদুর রহমান জানায়, মৌখিক নিয়োগের ভিত্তিতে বিআরটিএ অফিসে অফিস সহায়ক পদে কাজ করতেন সে। সেই থেকে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের মাধ্যমে অনিয়ম করে লাইসেন্স তৈরী, নবায়ন, গাড়ির নিবন্ধন ও মালিকানা পরিবর্তন সহ সকল প্রকার কাজ করতেন। তিনি অফিস সহকারী সহ সকল কর্মকর্তাদের চাহিদামত হিস্যা দিয়ে থাকতেন।
বর্তমানে বিআরটিএ অফিসে কর্মচারীদের স্থায়ী ভাবে নিয়োগ দেওয়ায় ওবায়েদুর চাকরি হারায়। সেই থেকে ওবায়েদুর তার গ্রাহকদের কাজ করতে ব্যর্থ হয়। তাই তিনি তার গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। মাদারীপুর অঞ্চলে দায়িত্বরত দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানায়, প্রধান কার্যালয়ে একজন হয়রানী হওয়া গ্রাহক অভিযোগ করেন। আমরা অভিযান চালিয়ে একজন দালালকে ধরতে পেরেছি।
তিনি যে সকল গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদের দুইজনকে টাকা ফেরত দেওয়াতে পেরেছি। এখান থেকে যে সকল অসঙ্গতি পাওয়া গেছে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করব। তাদের নির্দেশমত পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিআরটিএ শরীয়তপুরের সহকারী পরিচালক মো. নুরুল হোসেন জানায়, তিনি শরীয়তপুর কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে দালালদের অবাঞ্চিত করেছেন।
যে সকল অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অভিযান পরিচালনা করেছে তা তার যোগদানের পূর্বের অভিযোগ। তার মোটর যান পরিদর্শক মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে তাও খতিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
কিউএনবি/আয়শা/১৫ জানুয়ারী ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:১৮