বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : সূর্য তখনো পুব আকাশে উঁকি দেয়নি। আক্ষরিক অর্থে সূর্য উঠার সময় হয়নি। বাস্তবে ঘন কুয়াশা সেই সময়টাকে আরো প্রলম্বিত করলো। তবে তাতে কি। সকাল ৫-৩০ এর মধ্যেই অর্ধ শতাধিক দৌঁড়বিদ হাজির। তারা ছুটে যাবে মোস্তফা কামালের সমাধিতে। ১৬ কিলোমিটার পথ দৌঁড়াবেন তারা। এরপর শ্রদ্ধা জানাবেন। উপস্থিতিদের মধ্যে ১৩ বছরের শিশু থেকে ৬৩ বছরের বৃদ্ধ রয়েছেন। মহান বিজয় দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে ও মুক্তিযোদ্ধার চেতনাকে যুব সমাজের মাঝে তুলে ধরার জন্য শুক্রবার এ ব্যতিক্রম আয়োজন করা হয়।আয়োজক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘আখাউড়া রানার্স’। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু। আখাউড়া-কসবা সড়ক দিয় গোপীনাথপুর বাজার পর্যন্ত ইউটার্ন নিয়ে মোগড়া বাজার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামালের সমাধিতে এসে দৌঁড় শেষ হয়। আরেকটি দল পাঁচ কিলোমিটার উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু করে মোগড়া বাজার থেকে ইউটার্ন নিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধিতে এসে শেষ করে।
দৌড় শেষে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোস্তফা কামালের সমাধিতে পুষ্পস্তবক দেওয়া হয়। এছাড়া স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। ১৬ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে এক ঘন্টা ২৩মিনিট ৫৫সেকেন্ডে প্রথম স্থান অধিকার করেন সালাউদ্দিন সুমন। এক ঘন্টা ৩১মিনিট ২০সেকেন্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন জাহাঙ্গীর হোসেন। এক ঘন্টা ৩৬ মিনিট ২৮ সেকেন্ডে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন সঞ্জিত ঘোষ, যার বয়স ৬৩ বছর।অপরদিকে পাঁচ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে ২০মিনিট ৫৭সেকেন্ডে প্রথম স্থান অধিকার করেন সাব্বির হোসেন। ২১ মিনিট ০৬সেকেন্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মো. ফাহিম ভূঁইয়া। ২২মিনিট ১৫সেকেন্ডে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন আমিনুল ইসলাম শুভ। সিনিয়র রানার্স ও উপদেষ্টা হিসাবে কাউছার হোসেন ভূঁইয়ার হাতে সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এ সময় দৌঁড়বিদদের পক্ষে অভিব্যক্তি ব্যক্ত করা হয়।উপস্থিত থেকে পুরস্কার তুলে দেন কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ভোরের কাগজ প্রতিনিধি জুটন বনিক ও মোক্তাদির হোসেন। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র রানার্স খালেদ শাওন, আকরাম হোসেন রাজু, রফিকুল ইসলাম হৃদয়, সাদ ইবনে সেলিম, তাম্মাম তানভীর, ইমন মিয়া, মো. তুষার, সুর্য খাদেম, রোকসানা আক্তার, তুষার ভূইয়া, আযান খাদেম প্রমুখ।