লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : শীতে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর মধ্যে সর্দি-কাশি ছাড়াও আরেকটি সমস্যা হলো পায়ের পেশীতে টান লাগা। অনেকে বলেন পায়ে খিঁচ লাগা। চিকিৎসকদের মতে, শীতকালে স্বাভাবিকভাবেই পানির পিপাসা কমে যায়। ঠাণ্ডার মধ্যে তাই শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ফলে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ হাত-পায়ের পেশিতে টান ধরার সমস্যা বাড়তে পারে। অনেকের আবার নতুন করেও শুরু হয় এ সমস্যা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে পায়ের পেশিতে টান ধরার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে এবং সমস্যাটি এড়াতে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে:
অনেক সময় সারাদিন অতিরিক্ত পরিশ্রম, হেঁটে ক্লান্ত হয়ে শোয়ার পর পায়ের পেশীতে টান লাগতে পারে। এরকম হলে সঙ্গে সঙ্গে যতো কষ্টই হোক উঠে সোজা হয়ে দাঁড়ান, পায়ের পেশী শিথিল রাখার চেষ্টা করুন। রক্তচলাচল স্বাভাবিক হলে পেশীর টান কমে আসবে, স্বস্তি পাবেন।
অনেকের খোলা বাতাসে অনেকক্ষণ শুয়ে থাকলে পায়ের পেশীতে টান লাগতে পারে। যাদের এ ধরণের সমস্যা আছে তারা ভারী কাপড় বা কম্বলে পা ঢেকে ঘুমান।
পায়ের পেশীতে টান ধরার সমস্যা দূর করতে হালকা গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়া আগে হালকা গরম পানিতে গোসল করলে অনিদ্রাজনিত সমস্যাও দূর হয়। পাশাপাশি পুরো শরীরে রক্ত চলাচল ভালো হয়। শীতের রাতে যদি গোসল করতে ইচ্ছে না করে, সেক্ষেত্রে গরম পানিতে পায়ের পাতা ডুবিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকলেও উপকার পাবেন।
সূর্যালোক সীমিত থাকা বা রোদে কম আসার কারণে বেশিরভাগ মানুষ এ ধরণের ব্যথা অনুভব করে। চিকিৎসকরা জানান, পেশী যখন কম নমনীয়তা থাকে, তখন এটি নড়াচড়া করতে গেলে টান লাগে। এ সময় প্রচুর ক্লান্তি অনুভব হয় এবং পেশীতে ব্যথা হয়।তাই যখনই সম্ভব দিনের বেলা সূর্যের আলোতে নিজেকে রাখতে হবে। কারণ এটি পেশীর কাঠিন্য দূর করে।
শরীরে পর্যাপ্ত পানি না থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। পেশীতে টান লাগা তাদের মধ্যে অন্যতম। শীতকালে আমরা অধিকাংশ সময় পানি কম পান করি ফলে শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। তাই এ সময় সারাদিন কতটুকু পানি পান করছেন, সেই হিসেব রাখার চেষ্টা করুন। শুধু পানি নয়, চা, কফির মতো পানীয় কিংবা ফলের রস সব মিলিয়ে দৈনিক ৩-৪ লিটার পানি পান করা জরুরি। তবে কিডনির সমস্যা থাকলে মেপে পান করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শীতের সময় জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করলে ভিটামিন সি, ডি ও কে’যুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। এর মধ্যে আছে- পালং শাক, বাঁধাকপি, টমেটো ও কমলা। এসব খাবারে পর্যাপ্ত ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ উপাদান থাকায় তা হাড় এবং জয়েন্টের সুস্থতা নিশ্চিত করে।
কিউএনবি/অনিমা/১৪ ডিসেম্বর ২০২৩,/রাত ৯:৪০