সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ন

নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র কী ভূমিকা নিতে পারে, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১২৪ Time View

ডেস্ক নিউজ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, এবারের নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করাটা বড় কোনো ইস্যু হবে না। যুক্তরাষ্ট্র ‘ডকট্রিন অব রিয়ালিটি’তে বিশ্বাস করে। তারা বাস্তবতা অনুধাবন করবে।  সম্প্রতি যুগান্তরকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একপর্যায়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়— যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে কী ধরনের ভূমিকা নিতে পারে?

জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি কোনো কিছু আশা করছি না। আমাদের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক খুব ভালো। আমেরিকা একটা শক্তিশালী দেশ। দুনিয়ার এক নম্বর দেশ। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, অস্ত্রের মহড়ায় শক্তির দিক থেকে এক নম্বর দেশ। সুতরাং আমরা তাদের সুপারিশ অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে বিবেচনা করি। 

তারা আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে বলেছিলেন। আমরাও দেখলাম— এটার প্রয়োগে কিছুটা বাড়াবাড়ি হয়েছে। আমরা সেটা বাতিল করে দিয়েছি। যদি কোনো উপদেশ থাকে যেটা বাস্তব নয়, সেটা আমরা গ্রহণ করতে পারব না। আমরা সবাই চাই, আমেরিকার মতো উন্নত হতে। তাদের মাথাপিছু আয় ৬৫ হাজার ডলার। 

আমরাও চাই। তাদের বিরাট দেশ। তাদের লোকজন আমাদের ডবল। তাদের দেশে দাস ছিল। আমাদের দেশে কখনো দাস ছিল না। তারা দাসদের অত্যাচার করেছে। একসময় তাদের দেশে একজন শ্রমিক ১৮ ঘণ্টা কাজ করে ২০ সেন্ট মাইনে পেত। ওই দিন চলে গেছে। তারা এখন ঘণ্টা ধরে ডলার পায়। আমরা তাদের মতো হতে চাই। আমরা আশা করি, একদিন আমরা সেটা হব। একদিনে হবে না। এটা ধাপে ধাপে হতে হবে। শেখ হাসিনা যখন ২০০৯ সালে সরকার পেলেন, তখন গার্মেন্টসে বেতন ছিল তিন হাজার টাকা। তিনি ক্ষমতায় আসার পর ৫৩০০ করলেন। 

তার পর তিনি এটা আরও বাড়ালেন। এখন এটা সাড়ে ১২ হাজার টাকা। তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। হঠাৎ করে যদি কেউ বলে যে, এটা আরও বাড়াতে হবে। আমরা এটা বাড়াতে চাই। কিন্তু এটা বেসরকারি খাত, সরকার বললেই হবে না। আমরা চাই, আমাদের পণ্যের দাম ক্রেতারা বাড়িয়ে দেবে। তা হলে আমরা এই টাকাটা শ্রমিকদের দিতে পারি। তারা বললেও পারবে না। কারণ তাদের দেশে এটাও বেসরকারি খাতের হাতে। আমাদের পোশাক কেনে দয়া করে নয়। সস্তায় পায়। গুণগত মানে ভালো জিনিস পায়। সময়মতো ডেলিভারি পায়। সে জন্য তারা কেনে। 

তারা বললেই আমরা কালকে করে দিলাম, এটা এত সহজ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো। তারা আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ। সবচেয়ে বড় একক বাণিজ্যের দেশ। আমাদের সঙ্গে বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে। আমেরিকাও একই জিনিসে বিশ্বাস করে। 

আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো ধরনের ফারাক নেই। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন ব্যানারে চাপ সৃষ্টি করে। অনেক সময় বন্ধু হিসাবে আমাদের ভালো প্রস্তাব করে। সেগুলো আমরা গ্রহণ করি।
 

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৯ ডিসেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৫:৪৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit