আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকের রাজধানী বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস লক্ষ্য করে বড় ধরনের হামলা করা হয়েছে। পর পর ৭টি মর্টার শেল ছোড়া হয়েছে মার্কিন দূতাবাসে। এই হামলাকে বাগদাদের মার্কিন দুতাবাসে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় হামলা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে মার্কিন দূতাবাসের সুরক্ষিত গ্রিন জোনের কাছে এই হামলা হয়। খবর আল জাজিরা ও রয়টার্স।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন ও ইরাকি সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে যে, শুক্রবার ভোরের দিকে দূতাবাসের কম্পাউন্ডে ও কূটনৈতিক ভবনের কাছাকাছি রকেটগুলো আঘাত হানে।
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, এ হামলায় কোনো হতাহত হয়নি এবং দূতাবাসের খুব সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ইরানের সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, হামলায় একটি ইরাকি নিরাপত্তা সংস্থার সদর দপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
একজন ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন যে ১৪টি কাতিউশা রকেট ছোড়া হয়েছিল এবং কিছু রকেট দূতাবাসের একটি গেটের কাছে আঘাত করে ও কিছু রকেট পাশ্বর্বতী টাইগ্রিস নদীতে পড়েছিল। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন যে, রকেট হামলায় অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আঘাত শুরু হওয়ার পরপরই দূতাবাস কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ইরাকি কর্মকর্তারা।
রয়টার্স জানিয়েছে যে, বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলার পাশাপাশি একটি বিমান ঘাটিতেও দুইবার হামলা করা হয়েছে। বাগদাদের পশ্চিমে আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে দুইটি রকেট ছোড়া হয়।
অন্যদিকে সিরিয়ায় পৃথক তিনটি মার্কিন ঘাটিতেও অন্তত পাঁচবার রকেট ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
যদিও শুক্রবারের এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী তবে ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ধারণা ইরান সমর্থিত কাতাইব হিজবুল্লাহ কিংবা হারকাত হিজবুল্লাহ আল নুজাবা, এই দুই গোষ্ঠীর কোনো একটি এই হামলার জন্য দায়ী।
দুটি গোষ্ঠীই ইরাম সমর্থিত লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামিক রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শাখা এবং বর্তমানে ইরাকে ব্যাপক সক্রিয়।
ইসরায়েল হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সিরিয়া ও ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে ইরাকে সক্রিয় বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। গাজায় ইহুদিবাদী অপরাধ অব্যাহত থাকলে তাদের হামলাও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।
কিউএনবি/অনিমা/০৯ ডিসেম্বর ২০২৩/বিকাল ৩:২১