খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিবাদী পক্ষের দ্বারা বিরোধীয় জমি দখলের অভিযোগ করেছে মামলার বাদী পক্ষ। বিবাদী পক্ষ তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবী করে বহু পূর্বে বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন। বায়নাপত্র দলিলের মাধ্যমে জমির মালিকানা দাবী করে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন বর্তমান পক্ষ। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নালিশী জমিতে কাজ করায় বাদী পক্ষে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাদী মেহেরুননেছা মামলায় অভিযোগ করেছেন, ৪৩ নং দাসাত্তা মৌজার আরএস ১৯১ খতিয়ানের ২৩০ নং দাগের ৭.১৫ একর জমি থেকে ১.৮০ একর জমির আরএস রেকর্ডিয় মালিকদের কাছ থেকে ১৯৬১ সালের ৪০৮৮ নং সাব-কবলা দলিল মুলে ক্রয় করেন। সেই থেকে ভোগ দখলেও রয়েছেন। বিআরএস রেকর্ডে সেই জমি লুৎফর রহমান স্বপন ফকিরগংদের নামে রেকর্ড হয়। রেকর্ড চুড়ান্ত হলে রেকর্ড সংশোধনের জন্য বাদী দেওয়ানী আদালতে ৩৬১/২০২২ নং মামলা দায়ের করেন।
আদালত বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিবাদী পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। বাদী পক্ষ আদালতের আদেশে সংক্ষুব্দ হয়ে হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন ৬২৩৬/২০২৩ দায়ের করেন। হাইকোর্ট নিন্ম আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল রাখেন। পরবর্তীতে বর্তমান মালিকগণ উচ্চ আদালতের সেই আদেশ উপেক্ষা করে বিরোধীয় জমি দখলে নিয়ে সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে। ইতোমধ্যে ভ্যাকু দিয়ে জমির চারপাশ ভড়াটও করছেন।
বাদীর পত্র মোয়াজ্জেম হোসেন জানায়, এই জমি আমার মায়ের নামে। বিবাদীরা হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে দখলের চেষ্টা করতেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আমি হাই কোর্টের আদেশ দিয়েছি। তারাও কাজ করতে নিষেধ করেছে। বিবাদীরা কিছুই মানতে রাজি না। রাতের আধারে তাদের কাজ চালিয়ে যায়। বিবাদী লুৎফর রহমান স্বপন ফকির জানায়, মেহেরুন নেছা আমার ফুফু।
মোয়াজ্জেম হোসেন আমার ফুফাতো ভাই। তার সেরেস্তায় বসে মসজিদে, নুরুল আমিন মোল্যার কাছে, ছালাম মোল্যরার কাছে ও ফুয়াদ আলআমিন মোল্যার কাছে জমি বিক্রি করেছি। সেই দলিল ফুফাতো ভাই মোয়াজ্জেম মোল্যা লিখেছে। যখন জমির মূল্য বৃদ্ধি পায় তখন লোভের বশবতি হয়ে ফুফুর নামে একটি জাল দলিল তৈরী করে মোয়াজ্জেম। আমি ফুফুর নামে জালিয়াতির অভিযোগ এনে অনেক আগেই মামলা করতে পারতাম। ফুফু বৃদ্ধ বয়সে জেল হাজতে যাবে সেই চিন্তা করে মামলা করিনি। তবে মামলা না করলে তারা বেপরোয়া হয়ে যাবে।
নালিশী জমিতে কাজ করতে থাকা সাদ্দাম খান জানায়, আমরা জমির কাগজপত্র দেখেই ৯১ শতাংশের বায়না করেছি। যারা মামলা করেছে তাদের কাগজপত্র নিয়ে সামাজিক ভাবে বসার আহবান করেছি। তারা বসতে চায় না। তাছাড়া মামলায় আমাদের বিবাদীও করা হয়নি।
কিউএনবি/আয়শা/০৬ ডিসেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৪:৪৬