সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার এয়াপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম মুন্সির আধাপাকা বসত ঘরের ৩-৪টি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ছাড়াও একই গ্রামের কদম মিয়ার পাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের বাহিরে ফাটল দেখা দিয়েছে। একটি পিলারের বেশ কয়েকটি টাইলস খুলে নিচে পড়ে গেছে। ভূকম্পন অনুভূত হলে স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে মসজিদে আজান দিতে থাকে। এ সময় তারা ভূকম্পন থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্পে পুরো নোয়াখালী কেঁপে ওঠে। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বাসা থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) ও মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা- ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল কুমিল্লা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ৩৫ কিমি.। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৬।চলতি বছর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ১০টি হালকা ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। এতে জানমালের তেমন ক্ষতি না হলেও বড় ধরনের ভূমিকম্পের আভাস পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিউএনবি/অনিমা/০২ ডিসেম্বর ২০২৩/সন্ধ্যা ৬:৪১