আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের পর শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। শর্তানুযায়ী বন্দি মুক্তির প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকাল ৪টায় প্রথম ১৩ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস। খবর আলজাজিরার।
এর বিনিময়ে ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি দেড়শ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে (যাদের অনেককে বিনা অভিযোগে আটক করা হয়) মুক্তি দেবে ইসরাইল।
বন্দিবিনিময়ের এ প্রক্রিয়া নিয়ে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় হামাসের হাতে বন্দি ১৩ ইসরাইলিকে মুক্তি দেবে হামাস।
বন্দি মুক্তির প্রক্রিয়ায় প্রথমে, রেডক্রস ইসরাইলি বন্দিদের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে নিয়ে যাবে এবং ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর কাছে তাদের হস্তান্তর করবে। এর পর শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শেষে বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষার জন্য তেলআবিবের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এর পর আবার স্থানীয় সময় রাত ১২টায় দক্ষিণ পূর্ব ইসরাইলের হাইফার ড্যামন এবং মেগিদ্দো কারাগারে আটক থাকা ইসরাইলের ৩৯ জন ফিলিস্থিনিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল। এর পর তাদের দখলকৃত পশ্চিমতীরের রামাল্লার দক্ষিণে ওফার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখান থেকে কাছাকাছি একটি ক্রসিংয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের হাতে বন্দি প্রতি ১০ ইসরাইলিকে মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি আরও একদিন করে বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে ইসরাইল। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ইসরাইলের কারাগারে ৫ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি আছে। বন্দিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা যথাক্রমে ৩৩ ও ১৭০। তাদের বিচার হলেও সেটা হয় সামরিক আদালতে।
কিউএনবি/আয়শা/২৪ নভেম্বর ২০২৩,/দুপুর ২:২০