খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া সমিতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের একাংশ অবৈধ প্রক্রিয়ায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। ভবন বিক্রি সম্পর্কে ম্যানেজিং কমিটি অবগত নয় বলে দাবী করেছেন সভাপতি। প্রধান শিক্ষক নিয়ম বহির্ভূতভাবে তার নিকট আত্মিয়র কাছে ভবনটি নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে, শিক্ষা প্রকৌশলের মাধ্যমে কয়েক বছরপূর্বে চিতলিয়া সমিতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় চারতলা ভবনের প্রথম তলার কাজ সম্পন্ন হয়। শ্রেণি কক্ষ স্বল্পতার কারণে পাঠদানে সমস্যা হওয়ায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় চার লাখ টাকা খরচে প্রথম তলায় উপরে একটি টিনশেড ভবন স্থাপন করা হয়। সেখানেই চলছিল পাঠদান। শিক্ষা প্রকৌশল বর্তমানে সেই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার কাজ শুরু করবে। তাই টিনশেড ভবনটি অপসারণের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদ ম্যানেজিং কমিটির সাথে কোন প্রকার সমন্বয় না করে তার ভগ্নিপতি মিয়ন সরদারের কাছে নামমাত্র মূল্যে গোপনে বিক্রি করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, টিনশেড ভবনটি তারা স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিক্ষা প্রকৌশল নির্মিত ভবনের ছাদে নির্মাণ করেছিলেন। শিক্ষা প্রকৌশল টিনশেড ভবন অপসারণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। তাই ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এমবি আলম পেদাসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট বিক্রয় কমিটি গঠন করে ভবন বিক্রি করা হয়েছে।
কথিত বিক্রয় কমিটির প্রধান এমবি আলম পেদা জানায়, প্রধান শিক্ষক ও তার ভাই সহকারি শিক্ষক বজলু বাঘা মিলে তার ভগ্নিপতি মিয়ন সরদারের কাছে ভবন বিক্রি করার পরে এমবি আলম পেদা জানতে পেরেছেন। তিনি আরো জানায়, বিক্রির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসারকে সম্পৃক্ত করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বৈধ প্রক্রিয়ায় ভবন বিক্রি করার জন্য তিনি প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করেছিলেন। প্রধান শিক্ষক তা অগ্রাহ্য করে তার ভগ্নিপতির নিকট নামমাত্র মূল্যে ভবনটি বিক্রি করেছেন।
চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার শফিকুল ইসলাম জানায়, তিনিও আশাবাদী ছিলেন ভবন বিক্রি প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে হবে। বিক্রির সকল প্রক্রিয়া গোপন রেখে স্বজন প্রীতির মাধ্যমে ভবন বিক্রি করা হয়েছে।বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওলিউর রহমান ফরাজী জানায়, বিক্রির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। প্রধান শিক্ষক গোপনে এই ধরণের অনেক অনিয়ম করে থাকে। একই এলাকায় বসবাস তাই কিছু বলতেও পারিনা। যদি কোন অনিয়মের বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে ধরা হয় তাহলে স্থানীয়দের সুপারিশ আসে ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
কিউএনবি/অনিমা/২২ নভেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৪:২৯