সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

আপনি কি সুরমা ব্যবহার করেন?

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৫৯ Time View

ডেস্ক নিউজ : সুরমা একটি খনিজ পদার্থ। এর মূল উপাদান হলো লিড সালফাইড। লিড সালফাইড গুঁড়া করেই সুরমা তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে মাস্ক গুঁড়া, জমজমের পানি এবং মধু মিশিয়ে চোখের বিভিন্ন রোগ সারাতে ব্যবহার করা হয়। নারী-পুরুষ সবার জন্যই সুরমা ব্যবহার বৈধ। শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য বর্ধনের উদ্দেশ নয় বরং রাসুলের ভালোবাসা ও অনুসরণে সুরমা ব্যবহার করা উচিত। যাতে চোখের উপকারিতার পাশাপাশি সুন্নতও আদায় হয়। কারণ হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে সুরমা ব্যবহার করেছেন এবং সাহাবিদের উৎসাহ প্রদান করেছেন। এমনকি নবী কারিম (সা.)-এর একটি সুরমাদানিও ছিল। সুরমার বেশকিছু উপকারিতা বর্ণিত হয়েছে হাদিসে।

ব্যবহার পদ্ধতি : ইসলাম ধর্মে সুরমার গুরুত্ব প্রকাশ করা হয়েছে। হাদিসের পাশাপাশি বিজ্ঞানেও সুরমার উপকারিতা পাওয়া গেছে। নিয়মিত সুরমা ব্যবহারে চোখে জ্যোতি বা দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। কারণ চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধক জীবাণুকে ধ্বংস করতে সক্ষম সুরমা।

সুরমা চোখে জ্বালাপোড়া নিরাময় করে। পাশাপাশি চোখের প্রবেশকৃত ধুলা ও ক্ষতিকর পদার্থগুলো নিঃসরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া সুরমায় রয়েছে চোখের জন্য ছোঁয়াচে সব ধরনের রোগজীবাণুকে ধ্বংস করার ক্ষমতা।

সুরমার ব্যবহার প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ইছমিদ সুরমা ব্যবহার করো। কারণ, তা চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে ও পরিষ্কার রাখে এবং অধিক ভ্রু উৎপন্ন করে।’

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) আরও বলেন, নবী কারিম (সা.)-এর একটি সুরমাদানি ছিল। প্রত্যেক রাতে (ঘুমানোর পূর্বে) ডান চোখে তিনবার এবং বাম চোখে তিনবার সুরমা লাগাতেন। -শামায়েলে তিরমিজি : ৪১

উল্লিখিত হাদিসে সুরমা ব্যবহারের উপকারিতা বর্ণনা করা হয়েছে। পাশাপাশি নবী কারিম (সা.) কীভাবে চোখে সুরমা লাগাতেন, সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে।

হাদিসে বর্ণিত সুরমা ব্যবহারের উপকারগুলো বিজ্ঞানও অকপটে স্বীকার করে নিয়েছে এবং তাদের গবেষণায় আরও উপকারিতা পাওয়া গেছে সেগুলো হলো ১. সব ধরনের ছোঁয়াচে রোগজীবাণুকে ধ্বংস করে। ২. চোখে প্রবেশকৃত ধুলোবালি নিঃসরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে প্রভৃতি। ৩. অত্যন্ত কার্যকরী জীবাণুনাশক। ৪. চোখে জ্বালাপোড়া খুব কম হয়।

শোয়ার আগে সুরমা ব্যবহার : হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা শোয়ার সময় অবশ্যই ‘ইছমিদ’ সুরমা ব্যবহার করবে। কারণ, তা চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে এবং এর ফলে অধিক ভ্রু জন্মায়। -শামায়েলে তিরমিজি : ৪২

সর্বোৎকৃষ্ট সুরমা : হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের জন্য ইছমিদ সুরমা সর্বোৎকৃষ্ট। কারণ, তা দৃষ্টি বাড়ায় এবং এর ফলে অধিক ভ্রু জন্মায় (উদগত হয়)। -শামায়েলে তিরমিজি : ৪৩

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২১ অক্টোবর ২০২৩,/বিকাল ৪:৫৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit