ডেস্ক নিউজ : দেশে বছরে লক্ষাধিক মানুষের প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রয়োজন হলেও সেবা ব্যবস্থাটি খুবই অপ্রতুল। এ চিত্র শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপীই প্যালিয়েটিভ কেয়ারের চাহিদার ১২ শতাংশেরও কম মেটানো সম্ভব হয়। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব হসপিস অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ তথ্য জানান।
গ্লোবাল অ্যাটলাস অফ প্যালিয়েটিভ কেয়ার ২০২০ অনুসারে, প্রতি বছর ৫৬ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি লোকের প্যালিয়েটিভ কেয়ারের প্রয়োজন পড়ে। সারাবিশ্বের এই চাহিদার ১০ শতাংশেরও কম পূরণ করা সম্ভব হয়। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই সেবা এখনো অনুকূলে নয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুবন্ধে (৬৭.১৯) প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে অন্তর্ভুক্তকরণের সুপারিশ করা হয়েছে, যার অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ বাংলাদেশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৩.৮ এ উল্লিখিত সর্বজনীন পরিধি স্বজনের অন্যতম প্রধান অংশ এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার।
আরও বলা হয়, বিএসএমএমইউয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগ ২০০৭ সাল থেকে এ সেবা দিয়ে আসছে। বহিঃবিভাগ, অন্তঃবিভাগ, দিবা সেবা, রেজিস্টার্ড রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা টেলিফোন সার্ভিস এবং বিনামূল্যে গৃহসেবা নিশ্চিত করে আসছে এই বিভাগ। এছাড়া, চিকিৎসক নার্স, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সহকারী (পিসিএ) ও স্বেচ্ছাসেবকের পাশাপাশি রোগীর পরিবার বা পরিচর্যাকারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
কিউএনবি/আয়শা/১৮ অক্টোবর ২০২৩,/দুপুর ১২:১৮