ডেস্ক নিউজ : উপমহাদেশের বাইরে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা নেই সেভাবে। তাই বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের প্রসারের চ্যালেঞ্জও বেশি। ক্রিকেটকে বৈশ্বিক খেলায় পরিণত করতে চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে আইসিসি। দীর্ঘকাল বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়া আসর অলিম্পিকেও ছিল না ক্রিকেট।
১৯০০ সালের প্যারিস অলিম্পিকেই শুধু ক্রিকেট ছিল। মাত্র এক ম্যাচেই হয়েছিল শিরোপার নিষ্পত্তি। স্বাগতিক ফ্রান্সকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছিল গ্রেট ব্রিটেন। এরপর আর কখনই অলিম্পিকে ক্রিকেট হয়নি।
লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট। ছবি:
তবে কিছুদিন আগে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের স্থানীয় কমিটি এলএ২৮ ক্রিকেটকে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তাদের প্রস্তাবে ক্রিকেট ছাড়াও বেসবল/সফটবল, ফ্ল্যাগ ফুটবল, ল্যাক্রোস এবং স্কোয়াশকে ২০২৮ অলিম্পিকে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল। সে সময় আইওসির প্রেসিডেন্ট থমাস বাক জানিয়েছিলন, এই পাঁচটি খেলাকেই অলিম্পিকে অন্তর্ভূক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।
১৪-১৬ অক্টোবরের চূড়ান্ত ভোটাভুটি শেষে অলিম্পিকে ক্রিকেট যুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি। সোমবার (১৬ অক্টোবর) ক্রিকেটকে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে আইওসি। অলিম্পিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হবে ক্রিকেট।
ফুটবল ছাড়াও অলিম্পিককেও ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ বলে ডাকা হয়। বিশ্বের বৃহত্তম এই ক্রীড়া আসরে ক্রিকেট অন্তর্ভূক্ত হওয়া মানে সাড়া বিশ্বের মানুষের দারে ক্রিকেট পৌঁছে যাওয়া। যার ফলে বিশ্বায়ন হবে ক্রিকেটের। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা বাড়বে, নতুন নতুন দর্শক তৈরি হবে বলে মনে করেন আইসিসির চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত যে, লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।’তিনি যোগ করেন, ‘আমি আইওসিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং একইসঙ্গে এলএ২৮ কে তাদের সমর্থন ও আমাদের সংস্থার প্রতি বিশ্বাস রাখার জন্য ধন্যবাদ। বিশ্বমানের খেলার সাহায্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অলিম্পিকের নতুন নতুন সমর্থক তৈরি হবে।’