খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : আজ (১০ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হয়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে দুপুর ১২:৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী একটি রেলে চরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। তখন পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়। দুপুর ১:১৫ মিনিটের সময় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী রেলটি পদ্মা সেতু পাড় হয়ে শরীয়তপুরের নাওডোব এলাকা অতিক্রম করেন।
রেল যাত্রা দেখার জন্য শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ পদ্মা সেতুর দক্ষিণ পাশের সড়কে জরো হয়। তখন উপস্থিত জনসাধারণ ও এলাকাবাসী বলে ওঠেন ‘চেয়ে চেয়ে দেখলাম রেল চলে গেলো, আমার ওঠার সুযোগ ছিল না’। তেমনি একজন নাওডোবা মজিদ ঢালীর চর কান্দি গ্রামের আব্দুল হালিম ঢালির ছেলে হাবিব ঢালি। বসত বাড়িসহ ফসলি জমি ছিল তাদের। সকল কিছু চলে গেছে পদ্মা সেতু, সেনানীবাস, পদ্মা রেল সেতু ও রেল সড়কে।
এখন তিনি গাড়িতে গাড়িতে উঠে ঢান্ডা পানি বিক্রি করেন। তিনিও আক্ষেপ করে বলেন,‘আমাদের জায়গা সম্পত্তি সব গেছে তাতেও কোন আপত্তি থাকত না যদি আমরা সুবিধা বঞ্চিত না হতাম। এখন আমাদের জমির উপর তৈরী সড়ক দিয়ে রেল গাড়ি অন্য জেলায় চলে যাওয়া চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নাই। পূর্ব নাওডোবার মো. নুরুল ইসলাম রেল চলাচল দেখতে এসে বলেন, আমাদের দেওয়া জমি দিয়ে রেল চলে দেখতে ভালোই লাগছে। আমাদের রেলে চলার যদি সুযোগ করে দিতো তাহলে ভালো হতো। আল্লাহর কাছে দোয়া করি প্রধানমন্ত্রী যেন আমাদের রেলে চলার সুযোগ করে দেন।
পূর্ব নাওডোবা থেকে আসা স্কুল ছাত্র আরমান, আবির ও রোমান জানায়, পদ্মা সেতু রেল সড়ক দিয়ে রেল চলাচল দেখতে এসে ভালোই লাগছে। তবে আমরা রেলে চড়তে পারব না তা দেখে খারাপ লাগছে। আমাদের জন্য একটা রেল স্টেশন থাকলে আরো ভালো লাগত।
নাওডোবা কলম ঢালী কান্দি গ্রামের আব্দুল বারেক জানায়, নাওডোবা এলকায় রেল স্টেশন করার জন্য জমিও অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। এখন দেখি সেই স্টেশন শিবচরে চলে গেছে। এখানে রেল স্টেশন হলে শরীয়তপুর জেলার নাম থাকত। রেল স্টেশন না থাকায় জেলার নামও ক্ষুন্ন হয়। আমাদের এমপি-মন্ত্রীরা চেষ্টা করলে হয়তো এখানে রেল স্টেশন হতে পারে।
পদ্মা সেতু ও পদ্মা রেল সেতু দিয়ে রেল চলাচল ছিল শরীয়তপুরবাসীর স্বপ্ন। এখন সেতু দিয়ে পরিবহন ও রেল দুটোই চলছে। তবুও পূর্ণ হয়নি শরীয়তপুরবাসীর আকাঙ্খা। এখনও তারা জনপ্রতিনিধি ও প্রধাণমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন স্বপ্ন পূরণের জন্য। তাদের ধারণা খুব শীঘ্রই নাওডোবা এলাকায় রেল স্টেশন নির্মাণ করে শরীয়তপুরবাসীর স্বপ্ন পূরণ করবেন।
কিউএনবি/আয়শা/১০ অক্টোবর ২০২৩,/বিকাল ৫:২৮