শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০১ অপরাহ্ন

মেঘনা নদীতে ২ জেলে গুলিবিদ্ধ, ৫ জেলে অপহরণের অভিযাগ

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৭৯ Time View
নোয়াখালী প্রতিনিধি : মেঘনা নদীতে মাছ ধরার খেপ দখলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জলদস্যুদের গুলিতে ২ জেলে গুলিবিদ্ধসহ ৫জন আহত হয়।গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন, জিল্লুর রহমান (৩২) ও নুর আলম মিয়া (৩৫)। এদের মধ্যে জিল্লুর নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামের ভুলু মাঝির ছেলে ও মিয়া একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরতরাব আলী গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দীপ অংশে এ ঘটনা ঘটে।  আহতদের একই দিন রাত ১১টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপহৃতরা হলেন,রাজু (১৩),জুয়েল (২৬), আব্দুর রহমান (২২), হোসেন (৪০), ইসমাইল (৪০)।    

ভুক্তভোগী জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার মাইন উদ্দিন মাঝি ও অলি মাঝি মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দীপ অংশ থেকে দীর্ঘ দিন থেকে মাছ শিকার আসছে। কিছু দিন আগে থেকে মেঘনা নদীর মাছ শিকারের এই খেপ দখলের চেষ্টা চালায় জলদস্যু কেফায়েত বাহিনী। বুধবার বিকেলের দিকে কেফায়েত বাহিনী ওই খেপ দখল করতে জেলেদের জাল কেটে দেয়। খবর পেয়ে দুটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে সেখানে যায় ভুক্তভোগী জেলেরা।  একপর্যায়ে জলদস্যু কেফায়েত বাহিনীর সদস্য আলতাফ, নুরউদ্দিন ও জুয়েল সন্দীপ কোস্টগার্ড স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মহিউদ্দিনের সহযোগিতায় জেলেদের দুটি মাছ ধরার ট্রলারে দুই দফায় হামলা চালিয়ে মাছ,জাল, ট্রলারসহ কোটি টাকার মালামাল ডাকাতি  করে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে জলদস্যু বাহিনী গুলি ছুড়লে ২ জেলে গুলিবিদ্ধ সহ ৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই সময় জলদস্যু বাহিনী  ৫জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।  এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার কেফায়েত উল্যার মুঠোফোনে কল করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে সন্দীপ কোস্টগার্ড স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো.মহিউদ্দিনের মুঠোফোনে কল করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ফোন রিসিভ করেন সন্দীপ কোস্টগার্ড স্টেশনের কন্টিনজেন্টের আরেক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তিনি তার পরিচয় দিয়ে বলেন, এসব অভিযোগের বিষয়ে তাদের জানা নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো.মহিউদ্দিন এখনো অফিসে আসে নাই।চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুময়ায়ন কবির বলেন, মেঘনা নদীতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।  

কিউএনবি/অনিমা/২৮.০৯.২০২৩/সকাল ৯:১৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit