বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৩০ অপরাহ্ন

ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই গণমাধ্যম: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৪১ Time View

ডেস্ক নিউজ : গণমাধ্যমের ওপরও মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা হবে-বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের এমন বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার স্পষ্ট করে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যদের ওপরই শুধু ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। 

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেন। 

রোববার বেসরকারি একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছিলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে। এ প্রসঙ্গে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ২৪ সেপ্টেম্বর জানিয়েছেন নতুন ভিসা বিধিনিষেধে মিডিয়া ব্যক্তিত্বও অন্তর্ভুক্ত হবে এবং এই নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। 

এ প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা গণমাধ্যমে কাজ করা একজন সাবেক সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বজায় রাখার পরিপন্থি। আপনি কি মনে করেন না, এই নিষেধাজ্ঞা যদি মিডিয়াতে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানকে দুর্বল করবে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি মনে করি আমরা (ইতোমধ্যেই) যা বলেছি এবং কার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে তা আমরা নির্দিষ্ট করে কোনো সদস্য বা নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম ঘোষণা করিনি। কারণ মার্কিন ভিসার রেকর্ডগুলো গোপনীয় তথ্য। তবে, এটি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের জন্য এই নীতি প্রযোজ্য হবে।

বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যই ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে মিলার উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো পক্ষ নেওয়ার জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়নি। বরং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতেই এ ভিসানীতি।

এ ব্রিফিংয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ইস্যুতে তার দল ৪৮ ঘণ্টার যে আলটিমেটাম দিয়েছে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। তবে, এ প্রশ্নের কোনো উত্তর মিলার দেননি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। 

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নজরদারির কথা বলে মে মাসে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে এ ভিসানীতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে কাদের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে, সে নাম প্রকাশ করা হয়নি। 

কিউএনবি/অনিমা/২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/রাত ৯:৫৬

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit