লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : ত্বক ও চুলের যত্নে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার করা হয়। সেসব উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চুলের সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে কার্যকরী।
এমনই এক উপকারি উপাদান হল বিভিন্ন বীজ। সুপার ফুড ও বলা হয় এসব বীজকে। এগুলো শরীরের নানারকম উপকারের পাশাপাশি ত্বক ও চুল ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
নিচে এরকম কিছু বীজের নাম ও উপকারিতা দেয়া হল,
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণে ভরপুর চিয়া বীজ হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ধমনী দেওয়ালে জমে থাকা চটচটে পদার্থ সহজেই শরীর থেকে বার করে দেয়। হজমের সমস্যা থাকলে তা-ও নিয়ন্ত্রণে রাখে এই বীজ।
এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকে বয়সের ছাপ সহজে পড়তে দেয় না এবং সহজেই দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
চিয়ার মতো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল ফ্ল্যাক্সসিড বা তিসি। তিসিতে রয়েছে লিগনান্স নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই লিগনান্স বহু ক্ষেত্রে ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করেছে। এটি ত্বকের ক্যান্সারের প্রতিরেধক হিসাবে কাজ করে।
তিসির বীজ থেকে তৈরি তেল ত্বকের বলিরেখা দূর করে, শুষ্ক ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে, ত্বকের সংক্রমণ ও ফোলা ভাব প্রতিরোধ করে
নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে সূর্যমুখী ফুলের বীজে। হৃদ্রোগ সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে এই বীজ। ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যে কোনও ধরনের মারণরোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই বীজ।
এ ছাড়া সূর্যমুখীর বীজ ফ্যাটি এসিডের ভালো উৎস হওয়ায় ত্বকের এলাস্টিক ধরে রেখে ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখে।
কুমড়োর বীজ প্রোটিন, ওমেগা-৬ জাতীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ডায়াবেটিস থেকে রক্তচাপ— সবই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই বীজ। ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ এই বীজ ঘুমের সমস্যাও দূরে থাকে। মেনোপজ় অর্থাৎ, ঋতুবন্ধের পর স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমায় কুমড়োর বীজ।
কুমড়ার বীজে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল নামক এক ধরনের উপাদন যা চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের ফলিকল মজবুত করে।
ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রনে ভরপুর সাদা তিল। এ ছাড়াও, তিলের মধ্যে রয়েছে লিগনান্স নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। হরমোনের তারতম্যের মহিলাদের যে ধরনের সমস্যা হয়, তা-ও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বককে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া ত্বকের ড্যামেজ রিপেয়ার করে আর্দ্রতা ধরে রাখে।
কিউএনবি/আয়শা/২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৪:৩৮