খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি মঠের বাজারে ব্যবসায়ী খালেক সিকদারের বিরুদ্ধে ঘর ভাঙ্গার অভিযোগ এনে মামলা করেছে মঞ্জু হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি। মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবী করেছেন মামলার আসামী ব্যবসায়ী খালেক সিকদার। জানাগেছে, ধানকাঠি ইউনিয়নের চরমালগাঁও মঠের বাজারে ব্যবসায়ী খালেক সিকদার ও সকিনা বেগম দম্পতির বিআরএস পর্চা অনুযায়ী ১ একর ১৯ শতাংশ জমি রয়েছে। সেই জমিতে খালেক সিকদারের দ্বিতল ভবনসহ ৩৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। মঠের বাজার সমবায় সমিতিসহ প্রভাবশালী লোকজন তার জমি একটি অংশ দখল করে রেখেছে। প্রতিবাদ করলে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছেন।
ব্যবসায়ী খালেক সিকদার জানায়, তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এছাড়াও তিনি ইউপি সদস্য ছিলেন। একবার ধানকাঠি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। তার ৫ সন্তানের মধ্যে এক ছেলে সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট, এক ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী, অপর ছেলে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা এবং এক মেয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের নার্স। সন্তানরা তাদের সকলেই তাদের কর্মস্থলে থাকে। বাড়িতে কেউ না থাকায় প্রতিবেশী জমির মালিকগন একেএকে তার জমি দখলের চেষ্টা করে। জয়নালও তার জমির প্রায় আড়াই ফুট দখল করে রেখেছে। এই পর্যন্ত তার ৯ শতাংশ জমি বেদখল হয়ে গেছে। এবার জয়নাল মাস্টার তার জমির আড়াই ফুট দখলে নিয়েছে। প্রতিবাদ করায় জয়নাল মাস্টার তার আত্মীয় মঞ্জু হাওলাদারকে দিয়ে ঘর ভাঙ্গা ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ এনে আমি ও আমার স্ত্রীসহ সন্তানদের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মিথ্য মামলা করেছে।
মামলার বাদী মঞ্জু হাওলাদার বলেন, জয়নাল মাস্টার ও তার স্ত্রী হজ্বব্রত পালনের উদ্দেশ্যে সৌদিতে ছিলেন। এদিকে খালেক সিকদার জয়নাল মাস্টারের দোকান ঘরের একটি অংশ ভেঙ্গে ফেলে বাউন্ডারি ওয়াল করে। তখন জয়নাল মাস্টারের অনুরোধে এই মামলা করেছি। জয়নাল মাস্টারের দোকান ঘরের ভাড়াটে ফার্ণিচার ব্যবসায়ী মোসলেম সরদার বলেন, জয়নাল মাস্টারের দোকানে ফার্ণিচার ব্যবসা করতাম। ঘরের অবস্থা খুবই নরবরে ছিল। পানি জমে থাকত তাই মামলা হওয়ার অনেক পূর্বেই আমি ঘর ছেড়ে দিয়েছি। এখন হয়তো দোকান এমনিতেই ভেঙ্গে পড়েছে।
বাজারের অপর ব্যবসায়ী শাহিন ফরাজী জানায়, জয়নাল মাস্টার খালেক সিকদারের জমি দখল করে টিনশেট দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করছে। কিছুদিন পূর্বে সেখানে পাকা ভবন তৈরী করার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তাই বিভিন্ন মাধ্যমে খালেক সিকদারকে হয়রানি করে আসছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:০৫