বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

পৌর শহরে থেকেও পানিবন্দি জীবনযাপন

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি ।
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৯০ Time View

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : উন্নত জীবনযাপনের জন্য সামর্থ অনুযায়ী উন্নত পরিবেশে বসবাস করতে চাওয়া প্রতিটি নাগরিকের চাহিদা। সেই জীবনযাপন যদি হয় পানিবন্দি তখন নাগরিক চাহিদা ক্ষুন্ন হয়। পানিবন্দি এমন জনজীবন রয়েছে শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভার নবগ্রাম, বৈশাখী পাড়া ও কলুকাঠি গ্রামের বাসিন্দাদের। ইতোমধ্যে পানিবন্দি এলাকা চিহ্নিত করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ভোগান্তির জীবনযাপন থেকে মুক্তি দিতে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে।

নড়িয়া পৌরসভার পানিবন্দি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রের নবগ্রাম ও বৈশাখী পাড়াসহ কলুকাঠি এলাকার প্রায় ৩ হাজার মানুষের পানিবন্দি জীবনযাপন। পানি নিস্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বছরের ৬ মাস পানিবন্দি থাকতে হয় তাদের। অনেক বাড়ির উঠানেও রয়েছে পানি। শিশু সন্তানদের নিয়ে উৎকন্ঠায় থাকতে হয় বাবা-মাকে। শত শতর্কতার মাঝেও ছোট ছোট শিশুরা খেলার ছলে পানিতে নেমে যায়। দীর্ঘ সময় পানিবন্দি থাকায় জোঁক ও মশা সৃষ্টি হয় পানিতে। দুর্গন্ধযুক্ত পানি দিয়ে গোসলসহ সংসারের সকল কাজ চলে তাদের। নানান রোগাক্রান্ত হয়েও পানিবন্দি জীবনযাপনে বাধ্য তারা।

পানিবন্দি সেতারা বেগম জানায়, বছরের ছয় মাস তার বাড়ির উঠোনে পানি থাকে। তার শিশু সন্তান কেবল বসতে শিখেছে। তাকে বসিয়ে রেখে সংসারের কাজ করার সময় উঠানের পানির দিকে যেতে চেষ্টা করে। কয়েকদিন পরে তাকে বেধে রাখতে হবে। পল্লবী আক্তার জানায়, পচা পানিতে বন্দি তাদের জীবনযাপন। পানিতে ময়লার পাশাপাশি জোঁক ও মশা রয়েছে। সংসারের কাজে ব্যবহারের জন্য বিশুদ্ধ পানির অভাব তাদের। ময়লা পানি ব্যবহার কারে তাদের রোগ বালাই ছাড়ছে না। পানিবন্দি আরেক ভুক্তভোগী দিনমজুর কুদ্দুস আকন জানায়, পানিতে বাড়ির আঙ্গিণা ও চারপাশ তলিয়ে থাকায় কোন শাক-সব্জি উৎপাদন করতে পারছে না তারা। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা হলে শাক-সব্জি উৎপাদন করে বাড়তি রোজগারের ব্যবস্থা হতো তাদের।

এই বিষয়ে নড়িয়া পৌরসভার মেয়র এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, নবগ্রাম-বৈশাখী পাড়া ও কলুকাঠি এলাকায় প্রায় ৩ হাজার মানুষের বানিবন্দি জীবনযাপন। পানি নিস্কাশন সম্ভব হয় না। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে সাথে নিয়ে পানিবন্দি এলাকাগুলো ঘুরে ঘুরে চিহ্নিত করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড মাটি কেটে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করবে। পরবর্তীতে প্রকল্প গ্রহণ করে ড্রেনেজ করে দিব। ইতোমধ্যে নবগ্রাম এলাকায় প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। রাস্তা ও ড্রেনেজ এক সাথে হবে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৫:৫০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit