স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা সাবিনা খাতুন। দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সবকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সাবিনা আসন্ন এশিয়ান গেমস নিয়ে অনেক কথা বলেছেন দেশ রূপান্তরের সুদীপ্ত আনন্দ’র সঙ্গে
প্রথম এশিয়ান গেমস। প্রথম ম্যাচটাই ২০১১ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জাপানের বিপক্ষে। নিশ্চয় ভীষণ রোমাঞ্চিত?
সাবিনা খাতুন : ফুটবল ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচটি খেলব জাপানের বিপক্ষে। বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের সঙ্গে আগে কখনো খেলার সুযোগ হয়নি। মেয়েদের জন্যও বিশাল অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ এটা। বিশ্বকাপে আমি জাপানের সমর্থক ছিলাম। তাই বাড়তি একটা উত্তেজনা কাজ করবে।
এরপরেই তো ভিয়েতনামের বিপক্ষে খেলা
সাবিনা : ভিয়েতনামও অনেক শক্তিশালী দল। বিশ্বকাপে তাদের খেলাও দেখেছি। বিশ্বকাপে খেলা দুটি দল আমাদের গ্রুপে পড়েছে। অবশ্যই অনেক কঠিন পরীক্ষা আমাদের জন্য। তবে এটা বলতে পারি, বাংলাদেশ এখন আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলা দেখার দল না।
এদের সঙ্গে খেলাটা নিশ্চয় ভীষণ রোমাঞ্চকর ব্যাপার?
সাবিনা : অবশ্যই এটা আমাদের ফুটবলের জন্য অনেক বড় ব্যাপার হবে।। আমাদের দলে অনেকেই আছে যাদের বয়স ১৮-১৯ বছর। তারা এই পর্যায়ে খেলে এসে নিজেদের মধ্যেও আরও ভালো করার ব্যাপারে উৎসাহিত হবে। নিজেদের অবস্থানকে উন্নত করতে এটা অবশ্যই এটা বড় কাজে দেবে।
নতুন কোচের পরিকল্পনার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছেন তো?
সাবিনা : অনেক শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আমরা কীভাবে ঘর সামলাব, আমাদের অ্যাপ্রোচটা কী হবে, বল পেলে কীভাবে কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়ে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলব এসব নিয়েই নতুন কোচ অনেক কাজ করেছেন। তাছাড়া ফিটনেসের দিক থেকে আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। জুলাইয়ে নেপালের বিপক্ষে সিরিজের সময় যেমন ছিল তারচেয়ে অনেক উন্নতি করেছি। কোচের অধীনে যে কাজগুলো করেছি, সেগুলো মাঠে করাই এখন আমাদের লক্ষ্য।
গ্রুপের শেষ ম্যাচটায় চেনা প্রতিপক্ষ নেপাল। যাদের হারিয়ে সাফের সেরা হয়েছেন
সাবিনা : আমি মনে করি এই ম্যাচটা অনেক বেশি কম্পিটিটিভ হবে। দুদলই এই ম্যাচটা জিততে চাইবে। প্রথম দুই ম্যাচে অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি নেপালকে হারানোর লক্ষ্য আমাদের।
এশিয়াডে আপনি বাংলাদেশের পতাকা বহন করবেন। এটাও নিশ্চয় অনেক গর্বের?
সাবিনা : এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা অর্জন। এই অনুভ‚তিটা এখনই ঠিক বুঝতে পারছি না। ওই সময়টা যখন সামনে আসবে, তখনই হয়তো এটা সত্যি সত্যি অনুভব করতে পারব। এই সময়টার জন্য সত্যি অপেক্ষা করে আছি।
সাতক্ষীরার সেই ছোট্ট সাবিনা এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। দেশের লাল-সবুজ পতাকা বহন করছে। ভেবে বিস্মিত হন না?
সাবিনা : সত্যি বললে আমার কাছে এই বিষয়গুলো কেমন যেন স্বপ্নের মতো মনে হয়। এই ফুটবল খেলেই আজ এত এত সম্মান পাচ্ছি। এত এত মানুষ আমাকে চিনছে। ভালোবাসছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কী আছে। তবে আমি কিন্তু আমার রুটকে (সাতক্ষীরা) ভুলিনি। বিশ্বাস করি, সাতক্ষীরার মানুষের ভালোবাসার জোরেই আমি এতটা আসতে পেরেছি।
কিউএনবি/আয়শা/১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৩:৩৪