যুক্তরাষ্ট্রের ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার মন খারাপটা একপাশে সরিয়ে জার্সিতে মেসির অটোগ্রাফ নিতে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না ভেনেজুয়েলার সাবেক ফুটবলার আলেহান্দ্রো মরেনো। তিনি নিজেও খেলেছেন মেজর লিগ সকারে। এই ফুটবল বিশ্লেষকের মতে, নিজের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলেও এমন কাণ্ড ঘটানোর আগে ভাবতেন ভাসকুয়েজ।
আর যার অটোগ্রাফ নিয়েছেন, সেই নামটা মেসি হলেও মানসিকতার জায়গায় ছাড় দেওয়া পছন্দ হয়নি মরেনোর। তিনি বলেছেন, ‘এটা লিওনেল মেসি, ম্যারাডোনা কিংবা পেলে হোক, তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। সে তোমার প্রতিপক্ষ যে তোমাকে এবং তোমার দলকে লক্ষ্য অর্জনে বাধা দিচ্ছে। আর তোমার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনোভাব কোথায়, তোমার প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, সতীর্থ ও নিজের প্রতি সম্মান কোথায়?’
এমন মানসিকতা মোটেই পছন্দ হয়নি সাবেক স্কটিশ ফুটবলার স্টিভ নিকলের। লিভারপুলের এই সাবেক ফুটবলার ভাসকুয়েজের কাণ্ডে পুরোপুরি বিরক্ত, ‘সত্যি বলতে আমি বিরক্ত। টিভিতে বলা যাবে, এমন কিছু বলার ভাষা নেই। কেউ সেমিফাইনালে হারার পর প্রতিপক্ষের কাছ থেকে অটোগ্রাফ নেওয়ার কথা ভাবতে পারে! পুরোপুরি বিরক্তিকর।’
এমন মানসিকতা সিনসিনাটির দর্শকদের সঙ্গেও প্রতারণা, ফুটবলবিশ্লেষক নিকোলের মতে, ‘বিষয়টি পুরোই হাস্যকর। একজন ক্লাবের সমর্থক হিসেবে আমি এসেছি দলের জয় দেখতে অথচ তারা ম্যাচ হারার পর বাচ্চাদের মতো ব্যবহার করেছে! আসলে আমার অন্য শব্দ ব্যবহার করা উচিত, কিন্তু তা ব্যবহারের অনুমতি নেই।’