আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাইফার হারানোর (গোপন বার্তার সাংকেতিক রূপ) মামলায় অ্যাটক জেলখানায় প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হলো পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে।
ঘণ্টাব্যাপী একের পর এক প্রশ্ন করেন ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) সাইবার ক্রাইম সার্কেলের তিন সদস্যের টিম। এর নেতৃত্বে ছিলেন উপপরিচালক আয়াজ খান। এসময় শান্ত ছিলেন ইমরান খান। গোয়েন্দাদের সহায়তা করেছেন তিনি। খবর জিও টিভির।
খবরে বলা হয়, গভীর ধৈর্যের সঙ্গে তদন্ত টিমের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ইমরান। গত বছর তিনি জনসমাবেশে যে গোপনীয় একটি ডকুমেন্ট (সাইফার) প্রদর্শন করেছিলেন, সে বিষয়ে বলেছেন— কোনো সাইফার (গোপন বার্তার সাংকেতিক রূপ) প্রদর্শন করেননি তিনি। তা ছাড়া সেটা কোথায় রেখেছেন তাও তিনি ভুলে গেছেন।
ইমরান বলেন, ওই জনসমাবেশে আমি যে কাগজটি প্রদর্শন করেছিলাম, তা ছিল মন্ত্রিপরিষদের কাগজ। কোনো সাইফার ছিল না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখার অধিকার তার ছিল। তবে কেন তিনি তা জনসমাবেশে প্রদর্শন করেছেন তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
সূত্র বলেছে, সম্ভবত এটা ছিল সাইফারবিষয়ক ইস্যুতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের শেষ পর্যায়। এর পরই তদন্তকারীরা একটি সিদ্ধান্তে যাবেন। এ নিয়ে যে মামলা আছে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন তদন্ত রিপোর্ট আগামী সপ্তাহের মধ্যে আসতে পারে। তা জমা দেওয়া হতে পারে আদালতে।
এদিকে তার জামিনের ৯ম আবেদন ইসলামাবাদ হাইকোর্টে প্রত্যাখ্যান হওয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছেন শনিবার। ৯ মে সহিংসতা, জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে আক্রমণ, ভুয়া অ্যাকাউন্টের মতো বিভিন্ন মামলায় তার জামিন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। আইনজীবী সালমান সফদারের মাধ্যমে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ৯ম জামিন আবেদন করেন।
কিউএনবি/অনিমা/২৭ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৩:০৬