সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ পিছিয়েছে পরীক্ষামূলক চলাচল

বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি ।
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩
  • ১১১ Time View
বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল পিছিয়েছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ি, মঙ্গলবার এ পথে পরীক্ষামূলকবাবে ট্রেন চলাচল করেনি। তবে গত কয়েকদিনের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করেছে ‘গ্যাং কার’ বা ‘ট্র্যাক কার’। মঙ্গলবার দুপুরে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত রেলের ইঞ্জিন পরীক্ষামূলক চালানো হয়।

গত কয়েকদিন ধরে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ‘গ্যাং কারে’ করে রেললাইনে পাথর ঢালা হচ্ছে। মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো বিশেষ দুইটি বগি সংযুক্ত করে হালকা ওজনের এই ‘গ্যাং কার’ চলেছে সীমান্তের শূন্যরেখা পর্যন্ত চালানো হয়। এর আগে রেলপথে গত ১৬ আগস্ট ‘গ্যাং কার’ বা ‘ট্র্যাক কার’ চালানো হয়ে। ‘গ্যাং কার’ নামে পরিচিত ‘ট্র্যাক কার’ বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত রেলের ইঞ্জিন। 

প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভারতের নয়াদিল্লির টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের বাংলাদেশ প্রধান শরৎ শর্মা বলেন, আখাউড়া অংশের ছয় কিলোমিটার এলাকায় রেললাইন বসানো হয়েছে। এখনও ভারী ইঞ্জিনে ট্রেন চলাচলের জন্য আরও কিছু কাজ করতে হবে। ‘গ্যাং কারে’ করে আখাউড়া অংশের পুরো রেললাইন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। আরও কি কি কাজ করা প্রয়োজন তা পর্যবেক্ষণ করলাম।’ আগামী দশদিনের মধ্যে পুরো রেলপথ ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী ও আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইন বসানো হয়ে গেছে। ফিটিংস লাগানো শেষ হয়েছে। এখন বেলাস্টিং চলছে। পেকিং দেওয়া হচ্ছে, যাতে লেভেল ঠিক থাকে।

ইমিগ্রেশন ভবনের কিছু কাজ বাকি আছে, যা দ্রুত শেষ করা হবে।’দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা। 

২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ১৮ মাস। এরপর করোনার প্রভাবসহ নানা কারণে পাঁচ দফা এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ নির্মাণ কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী বছরের জুন নাগাদ করা হয়। এ রেলপথ চালু হলে দু’দেশের বাণিজ্যে গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২২ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ১০:২১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit