লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : বাঙ্গালীর অন্যতম পছন্দের খাবার আঁচার। একেক মৌসুমে পাওয়া যায় একেক ধরনের ফল আর সবজি। আর বাঙালি প্রতিটি মৌসুমেই মৌসুমি ফল বা সবজি দিয়ে তৈরি করে আচার।
তবে বর্ষায় আম, জলপাইয়ের আঁচার ছাড়া কি চলে! প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পাওয়া যায় জলপাই, বরই, আম, চালতার আচার। এ ছাড়া লেবু, মরিচ, সাতকড়া, তেঁতুলসহ নানারকম আঁচার ও জনপ্রিয়।
অনেকেই মৌসুমি উপকরণের আচার বানিয়ে বছরজুড়ে সংরক্ষণ করেন। তবে এসব আচার তৈরিতে যেমন ঝক্কি পোহাতে হয়, তেমনি কষ্ট হয় সংরক্ষণেও। কয়েক মাস যাওয়ার পরেই আচারে ছত্রাক জমে। বিশেষ করে বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে সময়ে আঁচার বেশি নষ্ট হয়।
তবে কিছু সাবধানতা বা উপায় অবলম্বন করলে আঁচার নষ্ট হওয়া বা ছত্রাকমুক্ত করা যায়। চলুন জেনে নেই সহজ কিছু উপায়,
১) বর্ষায় যখনি রোদ পাবেন তখনই আচার রাখা বয়াম ঢাকনা খুলে রোদে দিন। বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় আচার সারাক্ষণ বয়ামবন্দি করে রাখলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আচার খারাপও হয়ে যেতে পারে। রোদ পেলে আঁচারে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে না।
২) আচার ভাল রাখার জন্য তাতে বেশি করে তেল ব্যবহার করুন। তেলের লেয়ার যেন আচারের উপর পর্যন্ত থাকে। তেল আচারে বাতাস ঢুকতে বাধা দেয়। এতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকতে পারে না।
৩) আচার ভাল রাখতে ব্যবহার করতে পারেন ভিনেগার। তবে পরিমাণমতো লবণও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই দুই উপাদানই আচারের স্বাদ এবং গন্ধ নষ্ট হতে দেয় না। লবণ হোক কিংবা ভিনেগার, অল্প পরিমাণে আচারের উপর ছড়িয়ে দিলে ভাল থাকবে দীর্ঘ দিন।
৪) যেনোতেনো পাত্র কিংবা প্লাস্টিকের পাত্রে আঁচার রাখবেন না। সব সময় আঁচার কাঁচের বয়ামে রাখা উচিত। প্লাস্টিকের পাত্রে রাখলে বর্ষায় আচার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া কাচের পাত্রে আঁচার ঢেলে রাখার আগে বয়ামটি ভাল করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন।
৫) আচারের কৌটো ফ্রিজে রাখতে পারেন। তবে খাওয়ার সময় বার করলেও বেশিক্ষণ বাইরে ফেলে রাখবেন না। তাতে আবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন আবহাওয়ায় রাখলে নানা ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে।
৬) হলুদ, মেথি পাউডার এবং হিং খুব ভালো প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে। সোডিয়াম বেনজোয়েট অ্যাসিড ও সোডিয়াম বেনজোয়েট দিলে আচার দীর্ঘদিন ভালো থাকে। লবণ, চিনি, ভিনেগার, মসলা দিয়ে তৈরি আচার কয়েক বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।