বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন

রুমকী’র কথা, রুমকী’র চিঠি -৯, শচীন দেববর্মন : কুমিল্লার এক অনুনাসিক সুর সন্তান

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ৬০১ Time View

শচীন দেববর্মন : কুমিল্লার এক অনুনাসিক সুর সন্তান
—————————————————————
ইদানিং বর্মন পরিবার আমার উপর ভর করেছে। শুরুটা করেছিলাম, মীরা দেববর্মন কে নিয়ে। তাঁকে নিয়ে দুটো পর্ব লিখেছি। এখন ভাবছি তাঁর স্বামী শচীন দেববর্মন, ছেলে রাহুল দেববর্মন অতঃপর পুত্রবধূ আশা ভোঁসলে বাদ যাবে কেন ? তাঁদেরকে নিয়েও দু কলম লেখা উচিত। এই ভাবনায় শচীন দেবের গান শুনছি গত দুদিন ধরে। গানতো শুধু আমার কানেই ঢুকেনা, ইউটিউবে বাজানো সাউন্ড বক্সের গান আমার ছেলে,মেয়ে স্ত্রীর কানেও ঢুকছে। তারা বেশ বিরক্ত, বুঝতে পারছি।

আমার মেয়ে আমার বাসায় সবচেয়ে চুপচাপ মানুষ। কারও কোন বিষয়ে সে নাক গলায় না অথবা আগে বাড়িয়ে কিছু বলেনা। কিন্তু গত দুদিন ধরে শচীন দেববর্মন অর্থাৎ এসডি বর্মনের গান শুনতে শুনতে সে বাধ্য হয়ে মুখ খুললো, আম্মু নাকি সুরের এই গান তোমার এত ভালোলাগে ? আমি আমার মেয়েকে কাছে ডেকে বসিয়ে শুরু করলাম কুমিল্লার অনুনাসিক সুর সন্তান শচীন দেববর্মনের জীবনের কথা।

শচীন দেববর্মণ ১ অক্টোবর, ১৯০৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় বাংলা ও হিন্দী গানের কিংবদন্তীতুল্য ও জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক , সুরকার , গায়ক ও লোকসঙ্গীত শিল্পী । প্রায়শ তাকে এস ডি বর্মণ হিসেবেই উল্লেখ করা হয়। কিছুটা অনুনাসিক কণ্ঠস্বরের জন্য তিনি তার শ্রোতাদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। প্রায় একশো বছর পার করেও বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে তার কালোত্তীর্ণ গানের আবেদন কিছুমাত্র লঘু হয়নি। কেবল সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে নয়, গীতিকার হিসাবেও তিনি সার্থক। তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার পুত্র রাহুল দেববর্মণ ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীতপরিচালক এবং সুরকার ছিলেন। তার ছাত্রী এবং পরবর্তীতে সহধর্মিনী মীরা দেববর্মণ গীতিকার হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। পুত্রবধূ আশা ভোঁশলেও জগৎজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছে।

শচীন দেববর্মনের জন্ম কুমিল্লায় ৷ তবে আদিবাস বর্তমান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ৷ তিনি ছিলেন ত্রিপুরার চন্দ্রবংশীয় মানিক্য রাজপরিবারের সন্তান। বাবা নবদ্বীপচন্দ্র দেববর্মণের কাছে সঙ্গীত শিক্ষা শুরু করেন। তৎকালীন ত্রিপুরার অন্তর্গত কুমিল্লার রাজপরিবারের নয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। মা মণিপুর রাজবংশের মেয়ে নিরুপমা দেবী। ত্রিপুরার আগরতলায় কুমার বোর্ডিং স্কুলে শচীন দেবের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়। ত্রিপুরার রাজপরিবারের সন্তানদের এবং তথাকথিত ধনী ঘরের সন্তানদের পড়াশোনার জন্যেই এই স্কুলটি বিশেষভাবে তৈরি হয়েছিল। পরে তাঁর বাবা নবদ্বীপচন্দ্র তাঁকে কুমিল্লার ইউসুফ স্কুলে ভর্তি করে দেন। এই স্কুলে কিছুদিন কাটিয়ে কুমিল্লা জেলা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন শচীন দেব বর্মণ।

১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হন। ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে ঐ কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। এরপরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বিএ ক্লাসেও ভর্তি হন। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ তে ভর্তি হন। ১৯২৫ সাল থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত মান্নাদের কাকা কৃষ্ণচন্দ্র দে-র কাছে তিনি সঙ্গীতের প্রথাগত তালিম নেওয়া শুরু করেন। তারপর একে একে ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, সারেঙ্গীবাদক বাদল খান, সরোদবাদক ওস্তাদ আলাউদ্দিন খানের কাছে সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্রের শিক্ষা গ্রহণ করেছেন শচীন দেব।

কুমিল্লায় থাকাকালীন বিখ্যাত কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে স্থায়ীভাবে মুম্বাইয়ে বসবাস করতে শুরু করেন ছোটবেলা থেকে সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগী ছিলেন।।

কুমিল্লার ঐতিহাসিক অভয় আশ্রমের তত্ত্বাবধায়ক সংগীত প্রাণ প্রয়াত শ্রী পরিমল দত্তের স্মৃতিকথা থেকে জানা যায়, শহরের চর্থা এলাকার গোল পুকুরের দক্ষিণ পাড়ের এই বাড়িটি ছিল তৎকালীন ভারত বর্ষের ত্রিপুরা রাজ্যের মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক বাহাদুরের সৎভাই মহারাজ নবদ্বীপ কুমার দেব বর্মন বাহাদুরের। ত্রিপুরার এই মহারাজার স্ত্রী ছিলেন বেশ কয়েকজন। তার মধ্যে পাটরাণী পুত্র মহারাজা নবদ্বীপ কুমার দেব বর্মন বাহাদুরকে আরেক রাণীর পুত্র বীরচন্দ্র মানিক বাহাদুর হত্যা করতে উঠে পড়ে লাগলে উপায়ান্তর না দেখে মহারাজ নবদ্বীপ রাজ বাড়ির কর্মকর্তা শ্রী কৈলাস সিংহের পরামর্শে সপরিবারে কুমিল্লায় চলে আসেন। জানা যায়, বিখ্যাত ‘রাজমালা’ গ্রন্থটি কৈলাশ সিংহ রচনা করেছিলেন। কৈলাস সিংহের পরামর্শে মহারাজ নবদ্বীপ সিংহাসনের দাবীও এ সময় ছেড়ে দিয়েছিলেন। কুমিল্লা শহরের পূর্ব চর্থায় অবস্থিত এ বাড়িটি তৎসময়ে নির্মিত হয়েছিল। বাড়িটি দেখতে কুমিল্লা শহরের ব্রিটিশ আমলে তৈরী বাড়িগুলোর মতোই মনে হয়। কোন রাজ প্রসাদের মত দেখতে এ বাড়িটি নয়। এই কুমার দেববর্মণ বাহাদুরের পুত্রই হলেন শচীন দেব বর্মন।

বাবা নবদ্বীপচন্দ্র দেববর্মণ ছিলেন একজন সেতারবাদক এবং ধ্রূপদী সঙ্গীতশিল্পী। তিনিই ছিলেন শচীন দেববর্মণের প্রথম শিক্ষক। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে হতে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে তিনি সঙ্গীতাচার্য কৃষ্ণচন্দ্র দের কাছে সঙ্গীতচর্চা করেন। এরপর তার সঙ্গীত শিক্ষা চলে উস্তাদ বাদল খান এবং বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে। ধ্রূপদী সঙ্গীতের এই শিক্ষা তার মধ্যে সঙ্গীতের মৌলিক জ্ঞান সঞ্চারে গভীর ভূমিকা পালন করে। এই শিক্ষা তার পরবর্তী জীবনের সুর-সাধনায় প্রভাব বিস্তার করেছিল। পরবর্তীতে তিনি উস্তাদ আফতাবউদ্দিন খানের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।

শহরের চর্থা এলাকার শচীন দেববর্মনের বাড়ির উল্টো দিকে অবস্থিত মুন্সি বাড়ির ইতিহাস থেকে জানা যায়, বাড়ির জমিদার সালাহউদ্দিন আহম্মেদ প্রকাশ মর্তুজ মিয়ার বন্ধু ছিলেন শচীন দেববর্মণ। মর্তুজ মিয়ার পরিবারিক ইতিহাস থেকে শচীন দেবের গায়ক হওয়ার পিছনের চমকপ্রদ তথ্য জানা যায়। জানা যায়, কৈশোরে একদিন শচীন দেববর্মণ ও মর্তুজ মিয়া যখন মুন্সি বাড়ির সামনের রাস্তায় রাতের বেলায় পায়চারী করছিলেন তখন শচীন দেব গুণগুন করে গান গাইছিলেন।

এ সময় বাড়ির সামনে বসা জমিদার নাবালক মিয়া বাড়ির চাকর সফর আলীকে রাস্তায় গান গাওয়া ছেলেটাকে ডেকে আনতে বললেন। সফর গিয়ে শচীন দেবকে বললেন, শচীন কর্তা আপনাকে হুজুর ডেকেছে। তখন শচীন দেববর্মণ ভয় পেয়ে যান। পরে অভয় দিয়ে তাকে ডেকে এনে নাবালক মিয়া জিজ্ঞাসা করেন, তোর তো গলা ভালো, কোন বাদ্য যন্ত্র আছে কিনা? তখন শচীন না সূচক উত্তর দিলে জমিদার নাবালক মিয়া পিয়ানো, হারমোনিয়াম, তবলাসহ সংগীতের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কিনে তার নিজ গৃহের একটি কে সংগীত সাধনের ব্যবস্থা করে দেন। কানাকেষ্ট নামের এক তবলচি রেখে দেন। সে থেকে সংগীতে শচীনের উত্থান ঘটে।

বীরচন্দ্র মাণিক্যের অর্থানুকূল্যে, কুমিল্লার চর্থায় ৬০ একর জমি নিয়ে প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন কুমার বাহাদুর নবদ্বীপচন্দ্র। এই প্রাসাদে ১৯০৬ সালের পয়লা অক্টোবর তার ছোট সন্তান শচীন দেববর্মণের জন্ম। ১৯১০ থেকে ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঠাকুরপাড়ার সুরলোক, কান্দিরপাড়ের সবুজ সংঘ নাট্যদল, দি গ্রেট জার্নাল থিয়েটার পার্টি, ইয়ংম্যান্স ক্লাব ইত্যাদি নিয়ে গড়ে উঠেছিল কুমিল্লার সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল। ত্রিপুরার মহারাজারা কুমিল্লায় তৈরি করেছেন টাউনহল, নাট্যশালা, লাইব্রেরি এবং নানা সংস্কৃতিক কেন্দ্র।

১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে শচীন দেবের বন্ধুদের মধ্যে ছিলেন সুরসাগর হিমাংশু দত্ত, অজয় ভট্টাচার্য, মোহিনী চৌধুরী, সমরেন্দ্র পাল, কাজী নজরুল ইসলাম, শৈলবালা দাম, ধ্রুপদীয়া সৌরেন দাশ, সুধীন দাশ প্রমুখ। সেখানে নিয়মিত আসতেন চলচ্চিত্র পরিচালক সুশীল মজুমদার, ননী মজুমদার, ব্রজেন ব্যানার্জি, জিতু দত্ত, অরুণ মহলানবিশ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। গানের ধরন ছিল ভোরকীর্তন, নগরকীর্তন, কবিগান, ঢপযাত্রা। সাহিত্যিক, সুরকার, গীতিকার, কবি ও সঙ্গীতজ্ঞগণ একত্রিত হতেন ইয়ংমেন্স ক্লাবে। আড্ডা থেকে ভেসে আসত নজরুল ও শচীন দেবের গান। নজরুল কুমিল্লা এলে থাকতেন তালপুকুরের পশ্চিমপাড়ে একটি ঘরে। কুমিল্লা থেকে শচীন দেব কলকাতা চলে আসেন ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে।কুমিল্লার বাড়িটি ইতিমধ্যে স্মৃতি হিসেবে সংক্ষরণ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সংস্কার ও সংরক্ষণ কাজ করা হয়েছে। এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি সংগীত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং মিউজিক্যাল আর্কাইভ স্থাপন করা হবে।

১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে তিনি প্রথম গান করেন। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে পিতা নবদ্বীপচন্দ্র কলকাতায় দেহত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ছিলেন ত্রিপুরার প্রধানমন্ত্রী। শচীন দেব তখন থাকতেন কলকাতার ত্রিপুরা প্যালেসে। নিজের লেখা সরগমের নিখাদ নামক আত্মজীবনীতে শচীন দেববর্মণ স্বয়ং লিখেছেনঃ “পিতার মৃত্যুর পর আমি যেন অগাধ জলে পড়ে গেলাম। এই অবস্থায় আমি আগরতলা বা কুমিল্লা গিয়ে থাকলে রাজকীয় আরামে ও নিশ্চিন্তে নিজেদের বাড়িতে বাস করতে পারতাম এবং রাজ্য সরকারের কোনো উচ্চপদে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতাম। আমার বড় ভাইরা আমাকে তাই করতে বললেন। আমার কিন্তু এ ব্যবস্থা মনঃপূত হলো না। নিজে একলা সংগ্রাম করে, নিজে উপার্জন করে সঙ্গীত সাধনায় জীবন কাটিয়ে দেব। মনের মধ্যে একমাত্র এই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কলকাতার ত্রিপুরা প্রাসাদ ছেড়ে ভাড়া করা সামান্য একখানা ঘরে আমার আস্তানা বাঁধলাম।”

১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি অডিশনে ফেল করলেন ভারতের রেকর্ড প্রস্তুতকারী শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এইচএমভিতে। তবে সে একই বছর তার প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ড বের হয় হিন্দুস্তান মিউজিক্যাল প্রোডাক্টস থেকে শচীন দেবের প্রথম রেকর্ডকৃত দুটি গান হল পল্লীগীতির ঢঙে গাওয়া “ডাকিলে কোকিল রোজ বিহানে” যার গীতিকার হেমেন্দ্র কুমার রায় এবং খাম্বাজ ঠুমরি অঙ্গের রাগপ্রধান “এ পথে আজ এসো প্রিয়” যার গীতিকার শৈলেন রায়। ১৯৩০-এর দশকে তিনি রেডিওতে পল্লীগীতি গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পূর্ব বাংলা এবং উত্তর-পূর্ব বাংলার পল্লীগীতির উপর তার বিশেষ ঝোঁক ছিল।

১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে অল ইন্ডিয়ান মিউজিক কনফারেন্সে তিনি গান গেয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে বেঙ্গল মিউজিক কনফারেন্সে ঠুমরি পেশ করে ওস্তাদ ফৈয়াজ খাঁকে মুগ্ধ করেছিলেন। শেখ ভানুর রচনা ‘নিশিথে যাইয়ো ফুলবনে’ দেহ ও সাধনতত্ত্বের গানটিকে প্রেমের গানে রূপান্তর করলেন কবি জসীমউদ্দীনকে দিয়ে এবং রূপান্তরিত এই গানটি রেকর্ড করলেন ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে। ১৯৩৭ এ মীরা দাশ গুপ্তাকে বিয়ে করেন। মীরা দাশ ছিলেন তার সঙ্গীত জীবনের বিশ্বস্ত সঙ্গী। বাংলা গানের জগতে মীরা দাশ তথা মীরা দেববর্মণ অন্যতম সার্থক গীতিকার। তার লেখা গানের মধ্যে আছে;

১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে প্যারালিটিক স্ট্রোক হয়ে কোমায় ছিলেন পাঁচ মাস। ৩১ অক্টোবর, ১৯৭৫ শচীন দেব বর্মনের প্রয়াণ হয়।

মন্ত্রমুগ্ধের মত শচীন দেববর্মনের জীবনী গাঁথা শুনল আমার মেয়ে। আমি মেয়েকে বললাম, এরপরে শোনাব তাঁর গানের বৈচিত্রময়তা আর শৈল্পিক সমাহারে অনুনাসিক কণ্ঠে এক যাদুর বাঁশির কথা।
—————————————————
প্রিয় নাহিদ/ এই প্রথম আমার মেয়ের প্রসংগ টানলাম। মেয়ে আমার নিউয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছে। কুইন্সের সিটি কলেজের ছাত্রী ছিল সে। সবই তুমি জানো। আমার মেয়ে আমার প্রাণ। আমেরিকায় জন্ম নিলেও আমি তাকে বাংলা পড়তে, লিখতে বলতে শিখিয়েছি।

আমি চাই আমার মেয়ে বাংলা সাহিত্য আর সংগীতের কৃতিমান মানুষদের কথা জানুক। মীরাদেব বর্মন সম্পর্কে আমার দুই পর্বের লেখাটি মেয়েকে পড়িয়েছি। সে আমাকে উৎসাহ দিয়ে বলে, মা তুমি আরও লিখ। মেয়ের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে এবারে লিখলাম শচীন দেববর্মনকে নিয়ে। লেখাটি কেমন হলো জানাবে। ভালো থেকো।

-তোমারই রুমকী।

সূত্রঃ উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ফিচার ম্যাগাজিন।

 

লেখকঃ লুৎফর রহমান একজন রাজনীতিবিদ ও লেখক। তিনি নিয়মিত লেখালেখির পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক নিউজ মিডিয়ার সম্পাদক ও প্রকাশক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র লুৎফর রহমান ৮০ এর দশকের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরতে দুটি রাজনৈতিক উপন্যাস লিখেছেন, যা দেশ বিদেশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবনের খন্ডচিত্র এঁকে তিনি এখন ব্যাপক পরিচিত।

 

কিউএনবি/নাহিদা /১৯.০৮.২০২৩।সন্ধ্যা ৭.৪৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit