সব ঠিক থাকলে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে শনিবারই অভিষেক হয়ে যাবে কেইনের। জার্মান সুপার কাপে এদিন লাইপজিগের মুখোমুখি হবে বায়ার্ন। ৩০ বছর বয়সী কেইনের সঙ্গে টটেনহ্যামের আরও এক বছরের চুক্তি ছিল। বায়ার্ন তাকে পেতে মুখিয়ে থাকলেও তিন তিনবার প্রস্তাব দিয়েও প্রত্যাখ্যান হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ক্লাবটির চতুর্থ প্রস্তাবে মন গলে টটেনহ্যামের। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা নেওয়ার ছিল কেইনেরই। এই স্ট্রাইকার নতুন চ্যালেঞ্জই গ্রহণ করেছেন।
বায়ার্নে যোগ দিয়ে কেইন বলেছেন, ‘বায়ার্নের অংশ হতে পেরে আমি খুবই খুশি। বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবের একটি বায়ার্ন এবং আমি সব সময় বলেছি, ক্যারিয়ার জুড়ে সর্বোচ্চ স্তরে লড়তে ও নিজেকে প্রমাণ করতে চাই আমি’।
সব মিলিয়ে টটেনহ্যামের হয়ে ৪৩৫ ম্যাচে ২৮০ গোল করেছেন কেইন। ২০১১ সালে টটেনহ্যামের যুব দল থেকে মূল দলে যোগ দিয়েছিলেন। প্রথম কয়েক মৌসুমে ধারে অন্যত্র খেললেও ২০১৩ সাল থেকে স্পার্সের হয়ে নিয়মিত ছিলেন। এই সময়ে ক্লাবটির ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন তিনি।
টটেনহ্যামের সর্বোচ্চ গোলের মালিক কেইন। ইংলিশ ফুটবলের ইতিহাসেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। ২১৩ গোল নিয়ে কেইন আছেন দ্বিতীয় স্থানে। ২৬০ গোল করে তালিকার সবার ওপরে অ্যালান শিয়েরার।
অর্থাৎ আর ৪৮ গোল করলে শিয়েরারকে ছাড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলের মালিক হতে পারবেন কেইন। আর একটি মৌসুম খেললে সেটা হয়তো সম্ভবও হতো।
তবে কেইন টটেনহ্যামের হয়ে প্রতি মৌসুমে গোলের পর গোল করছেন ঠিকই, কিন্তু শিরোপার দেখা পাননি। তিনবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। টটেনহ্যাম ও ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন দুইবার করে। কিন্তু কোনো শিরোপা নেই। কাঙ্ক্ষিত সেই বস্তুটার দেখা পেতেই হয়তো জার্মান ফুটবলে নাম লেখানো তার।