স্পোর্টস ডেস্ক : উদীয়মানদের এশিয়া কাপে ভালো খেলার পুরস্কার পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। সদ্য সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের বিকল্প হিসেবে জাতীয় দলের দরজা খুলেছে তার। এবার তিনি খেলতে যাবেন বড়দের এশিয়া কাপে। বিসিবির ঘোষিত ১৭ সদস্যে দলে নতুন মুখ তিনিই। সেই দলে আছেন তরুণদের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ এ দলের আরও এক প্রতিনিধি। তিনি মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
বাহাতি এই ওপেনারের রঙিন পোশাকের আন্তর্জাতিক অধ্যায়ে আবির্ভাব অনেকটা ধুমকেতুর মতোই। সাকিব আল হাসান ফিক্সিং কাণ্ডে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ভারত সফরে যায় বাংলাদেশ। তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল। সেই সিরিজে ২৬, ৩৬ ও ৮১ রানের ইনিংস গড়েছিলেন। যা তাকে টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত মুখ করে তুলেছিল।
তবে ধারাবাহিক হতে না পারায় জায়গা হারান দল থেকে। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপেও দলে ফিরেছিলেন। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। আফগানিস্তান সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবালের আকস্মিক অবসরে তিনি ফের জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন। কিন্তু ৯ ও ০ রানের বেশি করতে পারেননি।
তামিম ইকবালের বিকল্প হিসেবে তৈরি করতে তাকে পাঠানো হয় ইমার্জিং এশিয়া কাপে। সেখানে ৪ ইনিংসে ব্যাট করে করেছেন মাত্র ১২৫ রান। যেখানে তার সর্বোচ্চ ৪৭ রানের একটি ইনিংস। নেই কোনো ফিফটি। তবুও নির্বাচকরা তার ওপর রেখেছেন আস্থা। দিচ্ছেন আরও একটা সুযোগ।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সব শেষ আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। প্রায় ৭২ গড়ে তার রান ৯৩২। ছিল একটি সেঞ্চুরিসহ ১০টি হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। নির্বাচকরা সেটাকে বিবেচনায় রেখেই ফিরিয়েছেন জাতীয় দলে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও মানছেন ইমার্জিং এশিয়া কাপে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি নাঈম।
মিরপুরে আজ দল ঘোষণার সময় নান্নু বলেন, ‘নাঈম শেখ ঘরোয়া ক্রিকেটে যথেষ্ট ভালো খেলেছে। ইমার্জিং কাপে খুব একটা ভালো করতে পারেনি কিন্তু স্টেবল। এর সঙ্গে যেহেতু আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা আছে। এজন্য আমরা চিন্তা করেছি ওকে আরেকটু সুযোগ দেওয়া যায়।’
গত বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপের দলে ছিলেন শেখ মাহেদি হাসান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তার ওভারেই অতিরিক্ত রানে এক ওভার হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে সেই আসরের চ্যাম্পিয়নরা। এরপর আর জাতীয় দলে তাকে দেখা যায়নি। বিপিএলে ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। তারপর ইমার্জিং এশিয়া কাপে ভালো কয়েকটি ইনিংস খেলেছেন। আর তাই দরজা খুলেছে জাতীয় দলের।
সংবাদ সম্মেলনে তাকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘শেখ মেহেদী মাঝখানে বিপিএলে ইনজুরিতে পড়েছিল। অনেকদিন ভুগেছে। তারপরেও যেহেতু আমাদের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ছিল। ইমার্জিং কাপেও যথেষ্ট ভালো করেছে। আশা করছি নিজেকে মেলে ধরতে পারবে এশিয়া কাপে সুযোগ পেলে।’
কিউএনবি/আয়শা/১২ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৪:৩৩