আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমবার (৭ আগস্ট) রাশিয়ার বিজনেস ডেইলি আরবিকে এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আরটি।ইয়াকভ অ্যান্ড পার্টনার্স তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর রাশিয়ার পাইপলাইনে সরবরাহ করা গ্যাসের রফতানি ৩৪ শতাংশ কমে যাবে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে দেশটি ১২২ বিলিয়ন কিউবিক মিটার (বিএসএম) গ্যাস বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করেছে, যা ২০২১ সালে ছিল ২০৬ বিলিয়ন কিউবিক মিটার।
মূলত ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত শুরুর পর বিভিন্ন সময়ে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপে দেশটির পাইপলাইন গ্যাস রফতানি কমে গেছে। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্রেতাদের গ্যাস সরবরাহের জন্য অর্থ ডলার বা ইউরোর পরিবর্তে রুবলে পরিশোধে বাধ্য করে মস্কো। যার প্রভাব সামগ্রিকভাবে পাইপলাইনে গ্যাস রফতানির ওপর পড়েছে।
এই বছর দেশটির পাইপলাইনের গ্যাসের প্রবাহ আরও কমে ৮০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার নেমে আসবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ইউরোপে বাজার হাতছাড়া হওয়ার কারণেই মূলত পাইপলাইনে গ্যাসের সরবরাহ কমে যাচ্ছে।
কনসালটেন্সি সংস্থাটি জানিয়েছে, একটি বড় রফতানির উৎস হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজার হারানোর পাশাপাশি ২০২৩ সালে গ্যাসের উৎপাদন জোরপূর্বক কমানোর কারণে পাইপলাইনের গ্যাস সরবরাহ প্রায় ৩০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার কমবে।
২০২২ সালে ইইউতে জ্বালানির দাম আকাশচুম্বী হওয়া এবং নতুন বাজার সৃষ্টি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় গ্যাস রফতানি করে রেকর্ড ১৩৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল রাশিয়া।
কিন্তু চলতি বছর বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম কমে গেছে। একই সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস বিক্রি কমে যাওয়ায় দেশটির রফতানি আয় ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৪৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০৩০ সালে গ্যাস রফতানি করে দেশটির আয় দাঁড়াবে মাত্র ৫৫ বিলিয়ন ডলারে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জেরে পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রভাবে শুধু তুর্কি স্ট্রিম পাইপলাইনের দুটি থ্রেডসের একটি দিয়ে ইইউতে গ্যাস করতে পারছে রাশিয়া। এই পাইপলাইনের আরেকটি দিয়ে তুরস্কে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এদিকে পাওয়ার অব সাইবেরিয়া পাইপলাইন দিয়ে চীনে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে।
কিউএনবি/আয়শা/৮ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৫:১২