ডেস্ক নিউজ : বর্তমানে ক্যাম্পাসে আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ধারী মুয়ীদুর রহমান বাকি, সাইমুন ইসলাম, ইরফান হোসেন রাজ, ইবনে গালিব, রাকিবুল হোসেন রনি, সোহেল রানা, আয়াত উল্লাহ। এরা সবাই ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী রক্তিম-বাকি গ্রুপের সদস্য।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোন কমিটি না থাকলেও ছাত্রলীগ পরিচয়ে কয়েকটি গ্রুপ বিদ্যমান রয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১১টার দিকে শান্ত-নাভিদ-শরীফ গ্রুপের নেতা মুবাশ্বির রিদমের নেতৃত্বে ২০-২২ জন হেলমেট ও মাস্ক পরে প্রথমে শেরে বাংলা হলে যায়। তারা হলে ঢুকে হলের প্রধান গেট আটকে দেয় এবং শিক্ষার্থীদের কক্ষগুলো বাইরে থেকে আটকে দেয়। তারা চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় গিয়ে কয়েকটি কক্ষ তল্লাশি করে। পরে শেরে বাংলা এবং বঙ্গবন্ধু হলের মধ্যবর্তী মাঠ পেরিয়ে সরাসরি বঙ্গবন্ধু হলের চতুর্থ তলায় প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।
আহত শিক্ষার্থী সাইমুন ইসলাম জানান, রাতে গণিত বিভাগের মুবাশ্বির রিদমের নেতৃত্বে বাংলা বিভাগের তাহমিদ জামান নাভিদ, ইংরেজি বিভাগের তানজিদ মঞ্জু, ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের আল সামাদ শান্তসহ আরও ২০ থেকে ২২ জন মুখোশ ও হেলমেটধারী হামলা করে। হামলায় আমরা অন্তত সাতজন আহত হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর এই পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে।
আরেক আহত মুয়ীদুর রহমান বাকি বলেন, আমাদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের অধিকাংশই বিগত দিনে নানা অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত। কিন্তু তারপরও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এভাবে হামলা চালানোর সাহস পেয়েছে তারা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, রাতে হামলার বিষয়টি শোনার সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই হলের প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গেছেন। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত আছে। জানতে চাইলে অভিযুক্ত মুবাশ্বির রিদমের মোবাইল ফোনে কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
কিউএনবি/আয়শা/৬ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৩:৫০