সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন

পুঠিয়ায় ৬০ঊর্ধ্ব বৃদ্ধার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বাড়ি দখলের চেষ্টা 

মোঃ আমজাদ হোসেন রাজশাহী প্রতিনিধি :
  • Update Time : বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩
  • ৩০৬ Time View
মোঃ আমজাদ হোসেন রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী পুঠিয়া পৌরসভা এলাকাধীন কাঠালবাড়িয়া গ্রামে ৬০ ঊর্ধ্ব বৃদ্ধার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বাড়ি ধখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বলেন, গত-৬/৭মাস পূর্বে  আমার বড় বোন মাফিয়া-৭০এর আলেকা-৪৫ ও তার ছেলের বউ আমার বাড়িতে থাকতে দেই এর কিছু দিন পরে থেকে আমার বড় বোন মাফিয়া ও তার মেয়ে আমাকে বলে যে তুই আমাদের তোর বাড়ি লিখে দিবি নয়তো ১লক্ষ টাকা দিবি আর তানা হলে তোর বিরুদ্ধে আমার ছেলের বউ কে ধর্ষণ করেছিস এমন অভিযোগ আনবো। তারিই ধারাবাহিকতায় তাঁরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ দিচ্ছে এবং তারা আমার বাড়ি দখল করে আছে।

অভিযোগ কারী ঐ গৃহবধূর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি  বলেন, আমার  নানা শ্বশুরের কোনো ছেলে মেয়ে নেই। বাড়িতে শুধু নানা আর নানি থাকেন। নানার ছেলে মেয়ে না থাকায় তাদের ওই বাড়িতে আমাদের বসবাস করতে দেন। সম্প্রতি কিছুদিন যাবার পর আমার নানা শ্বশুর রাতের খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিত, এক পর্যায়ে আমি ও আমার স্বামী  অচেতন হয়ে গেলে আমার নানা শশুর  বসত ঘরে প্রবেশ করতো। এরপর আমাকে মাঝে মধ্যে ধর্ষণ করতো। বিষয়টি আমি শারীরিক ভাবে অনুভব করতে পারলেও কারো সাথে বিষয়টি শেয়ার করিনি এখন আমার দাবি (২টা) আমার নানা শশুর শহিদুল ইসলাম, আমাকে তার নামে থাকা সম্পত্তি বাড়িসহ লিখে দিবে নয় তো সে আমাকে বিয়ে করবে বলে জানান তিনি।

এর আগে অভিযোগ কারী ঐ গৃহবধূ পুঠিয়া পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ড কমিশনার, বারবার তার শাশুড়ী ও নানী শাশুড়ী তার নানা শশুর শহিদুল ইসলাম’র সাথে ঐ গৃহবধূকে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে এমন একটা অভিযোগ দায়ের করে অভিযোগের কপিটি হুবহু তুলে ধরা হলো,আমি একজন গরিব অসহায় মানুষ।আমার স্বামীর বসবাস করার মত কোন জায়গা জমি নাই। তাই আমার নানী শাশুরীর ভাই শহিদুল সম্পর্কে আমার নানা শ্বশুর হন তিনি তার বাড়িতে আমাদের থাকতে দেন। সেই বাড়িতে আমি আমার স্বামী এবং শ্বাশুরী ও নানী শ্বাশুরী থাকি। এমতাবস্থায় আমার শ্বাশুরী ও নানী শ্বাশুরী মিলে ষড়যন্ত্র তৈরী করেন। তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের কু-মন্ত্র দেয় যে, আমি যেন শহিদুল এর সাথে খারাপ সম্পর্ক তৈরী করি যার ফলে তার নামে যখন বদনাম ছড়াবে এবং তারপর আমার স্বামীকে তালাক দিয়ে তারা শহিদুল এর সাথে আবার আমাকে বিয়ে দিয়ে শহিদুল এর বাড়িঘর আমার নামে লিখে নিবে।

প্রতি নিয়ত তারা আমাকে এই ধরনের খারাপ কু-মন্ত্র দেয়। আমি কোন দিনও এই ধরনের খারাপ কাজ করতে পারবোনা । শহিদুল সম্পর্কে আমার নানা শ্বশুর হন উনাকে আমি অনেক সম্মান করি। তার সাথে আমার কোন ধরনের অনৈতিক সম্পর্ক নাই। সে আমাকে/আমাদেরকে থাকার ব্যবস্থা করেছেন। আমি মরে গেলেও এই ধরনের জঘন্য কাজ করতে পারবোনা প্রয়োজন হলে আমি এখান থেকে চলে যাবো। এই কথাগুলো আমি কাউকে বলতে পারবোনা আর যদি বলিও তখন তারা আমার উপরে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন চালাবে।ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম’র স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামীর বড় বোন মাফিয়া তার মেয়ে আলেকা ও তার  ছেলে এবং ছেলের বউকে আমাদের বাড়িতে থাকতে দেই হঠাৎ আমার স্বামীর বড় বোন মাফিয়া আমাদের কে বলে তাদের নামে জমি লিখে দিতে হবে আর না হলে তাঁরা আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করবে তারা আমার দখল করে আছে এবং আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ করছে তারা ।

কিউএনবি/অনিমা/০২ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ১০:২২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit