আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে আনা দুটি কর সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে তার করযোগ্য আয় ছিল ১৫ লাখ ডলারের বেশি। তবে সে সময় আয়কর দিতে ব্যর্থ হন তিনি। অপরদিকে ওই দুই বছরের জন্য আই.আর.এসের কাছে এক লাখ ডলারেরও বেশি বকেয়া কর ছিল তার।
এর আগে ২০১৮ সালে একটি আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় কাগজপত্রে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয় বাইডেন পুত্রের বিরুদ্ধে; যা গত ৫ বছর ধরে বিচার বিভাগের তদন্তাধীন রয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে এ মামলায় সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদন্ড এবং আড়াই লাখ ডলার জরিমানা হতে পারে হান্টার বাইডেনের। এসব অভিযোগ থেকে অব্যহতি পেতে গেলো মাসে এ সংক্রান্ত কাগজ-পত্র জমা দেন হান্টারের আইনজীবী ক্রিস ক্লার্ক। যা থেকে হান্টার বাইডেন দোষ স্বীকার করতে পারেন এমন চুক্তিতে পৌঁছানোর ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
এবার অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে কারাদণ্ড এড়াতে কর ফাঁকির মামলায় দোষ স্বীকার করতে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে ডেলাওয়ার আদালতে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্টের ছেলে। আবেদনটি আদালতে তোলার পর প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন দেখায় হান্টার বাইডেনকে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে বিচারিক কার্যক্রম। প্রেসিডেন্টের ছেলের দোষ স্বীকারের বিষয়ে ঐতিহাসিক চুক্তি পর্যালোচনা করতে আরও সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিচারক।
এদিকে বিচারকের এমন সিদ্ধান্তের পর রিপাবলিকানদের তোপের মুখে পড়েছেন জো বাইডেন। বিরোধীদের অভিযোগ, ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে পিতার ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন হান্টার বাইডেন
কিউএনবি/আয়শা/২৮ জুলাই ২০২৩,/দুপুর ২:৩৪