স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : যশোরের মনিরামপুরে তিনটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, গরুছাগলসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাটের অভিযোগ এনে সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খানের দুই ভাইসহ এবার ৩২ জনের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করা হয়েছে। মোবারকপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম খানের ছেলে সুমন খান বাদি হয়ে বুধবার যশোরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইমরান আহমেদ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে যশোরের ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মশিয়ার রহমান।
মামলার বাদি সুমন খান জানান, সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খানের(এনআই খান) মামাতভাই চালুয়াহাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মেহেদী আল এমরান খান পান্না ১৭ জুলাই রাতে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তদের হামলায় জখম হয়। এ ঘটনায় পান্না খান বাদি হয়ে কামাল হোসেন খান, শাহিনুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, আসাদুলসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ সহ থানায় একটি মামলা করেন। ফলে আসামিরা পুলিশের ভয়ে আত্মগোপন করে।
অভিযোগ রয়েছে এ সুযোগে সাবেক শিক্ষা সচিবের দুই ভাই হাবিবুর রহমান খান ও শাহরিয়ার আলম খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা রোহার রড, ধারালো অস্ত্র নিয়ে ১৮ জুলাই রাত নয়টার দিকে প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলাম খান, কামাল খান ও রফিকুল ইসলাম খানের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার পর ভাংচুর করে স্বর্নালঙ্কার, নগদ টাকা, মালামাল, এবং গোয়ালঘর থেকে ছয়টি গরু-ছাগল লুট করে। এ ঘটনায় গত সোমবার কামাল হোসেন বাদি হয়ে সাবেক শিক্ষা সচিবের ভাই হাবিবুর রহমান খান, শাহরিয়ার আলম খান, ফিরোজ খান, ইমন খানসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ আদালতে একটি মামলা করেন।
একই অভিযোগ এনে অপর ভূক্তভোগী শফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন খান বাদি হয়ে বুধবার আদালতে হাবিব খান, শাহরিয়ার আলম খানসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। তবে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খানের ছোটভাই হাবিবুর রহমান খান জানান, তার মামতভাই যুবলীগ নেতা পান্নার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করায় আসামিরা পরিকল্পীতভাবে কাউন্টার হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা করছেন।
কিউএনবি/অনিমা/২৭ জুলাই ২০২৩,/রাত ১০:০০