মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন

আ. লীগ এম.পি শিউলী আজাদকে সংসদ থেকে অপসারণ দাবি 

বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ।    
  • Update Time : রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩
  • ১২১ Time View
বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের (আসন নং-৩১২) সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম প্রকাশ শিউলী আজাদের অপসারণ দাবি করা হয়েছে। রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় হওয়া মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। ওই কর্মসূচিতে কয়েক হাজার লোক অংশ নেন। শিউলী আজাদ সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

রবিবার নাগরিক সমাজের ব্যানারে হওয়া ওই মানববন্ধনের নেপথ্যে ছিলেন শিউলী আজাদের স্বামী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এ কে এম ইকবাল হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী, যারা জামিনে রয়েছেন। সংসদে দেওয়া শিউলী আজাদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। সকালে সরাইল হাসপাতাল মোড় থেকে উপজেলা চত্বর পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে ওই সড়কে প্রায় এক ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।  মানববন্ধন শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সরাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসমত আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবদুল জব্বার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহফুজ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল ইকবাল আজাদকে হত্যা করেছে। ওই মহলটি ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের আসামী করে উপজেলা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শুণ্য করার ষড়যন্ত্র করছে। তারা প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। আর তার স্ত্রী শিউলী আজাদ ১৯ জুন সংসদে দাঁড়িয়ে হত্যা ঘটনায় মিথ্যাচার করেছেন।’বক্তারা চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম প্রকাশ শিউলী আজাদ এম.পির শ্বশুর আবদুল খালেক  তৎকালীন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা তাকে হত্যা করেন।

তাঁর ভাসুর হুমায়ূন আজাদ মারা গেছেন সড়ক দুর্ঘটনায়।’ বক্তারা ইকবাল আজাদ হত্যা মামলার পুন: তদন্ত দাবি করেন। দলীয় কোন্দলের জেরে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সরাইল উপজেলা সদরে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল আজাদ। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আজাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক উদ্দিন ঠাকুরসহ দলীয় ২১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৯ জুলাই ২০২৩,/রাত ৮:৫৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit