অনেকেই বলে থাকেন, এই সাফল্যের মূল কৃতিত্বের দাবিদার জেমস হোনার, যিনি এই মিউজিকের কম্পোজার! ইতোমধ্যেই তিনি তার সাফল্যের চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেয়ে গেছেন, অস্কারের একটি স্বর্ণমূর্তি জিতে নিয়ে।
জানা গেছে, মিউজিকের কম্পোজিশন যেন কোন মার্গীয় সঙ্গীত কিংবা চটুল পপ না হয়। সেই সাথে এমন কোনো লাভ থিম যেন হয় যাতে করে কেট উইন্সলেটের অনুভূতি বুঝানো সম্ভব হয়, এমন দুটি শর্ত ছবির নির্মাতা জেমস ক্যামেরন দিয়েছিলেন হোনারকে। বুদ্ধিমান হোনারকে এর চেয়ে বেশিকিছু বলার প্রয়োজন ছিল না ক্যামেরনের!
শুরুর দিকে ছবির নির্মাতাকে এই সাউন্ডট্র্যাকের অ্যালবাম বাজারজাত করতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল! সবাই ভেবেছিলেন ক্যামেরনকে দিয়ে আর যা-ই হোক লাভ স্টোরি হবে না! তাই বিশ্ববিখ্যাত রেকর্ডিং কোম্পানী ‘পোলিগ্রাম’ এই গানের ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। সেই সুযোগে বাজিমাত করেছে ‘সনি’।
এদিকে গানের শিল্পী সেলিন ডিওন ছিলেন জেমস হোনারের পূর্বপরিচিত। কেননা দুজনের জন্মভূমিই কানাডায়। তাছাড়া অন্যান্য সব সাউন্ডট্র্যাকের গান গেয়েই সেলেন জনপ্রিয় হয়েছিলেন। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’, ‘আপ ক্লোজ অ্যান্ড পার্সোনাল’! জানা গেছে, এই গানের রেকর্ডিং এর সময় তিনি এতটাই নার্ভাস ছিলেন যে, তার দুই হাঁটু ঠকঠক করে কেঁপেছিল! আর সেই গান শুনে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিলেন জেমস ক্যামেরন।
গান মুক্তির পর ব্যবসাসফল ‘সনি’ কোম্পানি একটি রিসার্চ করতে শুরু করে। এতে দেখা যায়, এর অধিকাংশ ক্রেতাই নারী, যাদের বয়স চব্বিশের নিচে এবং চল্লিশের উপর! সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে সে বছরের ভ্যালেনটাইন ডে তে। অ্যালবামটি বিক্রি হয়েছিল ৮ লাখ ৪৭হাজার ৬৬০ কপি। কিছুদিনের মধ্যে এর বিক্রি ২০ মিলিয়নে ছাড়িয়ে যায়। শিল্পী সেলিন ডিওন এতটাই দরদ দিয়ে গেয়েছেন যে, গানটি ছুঁয়ে গেছে অসংখ্য নারী পুরুষের হৃদয়।