আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের সুযোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে ইউক্রেন। ওয়াগনার বস ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের বিদ্রোহ ও সরে আসার ঘটনা যুদ্ধক্ষেত্রে মস্কোর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। সোমবার (২৬ জুন) নিউ ইয়র্ক টাইমসের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্র ও শনিবার রাশিয়ার কোনও ইউনিট অবস্থান ত্যাগ করেনি। যুদ্ধেও কোনো ছাড় ছিল না। আশঙ্কা ছিল, এই বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে কিয়েভ। এর আগে ২৩ জুন সন্ধ্যায় ওয়াগনার বস দাবি করেন, তার ইউনিটগুলো রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছিল। এর জের ধরে তিনি সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ওয়াগনারের শিবিরে হামলার অভিযোগকে ‘ভুয়া খবর’ বলে নিন্দা করেছে।
একপর্যায়ে প্রিগোজিনকে সমর্থনকারী ইউনিটগুলো রোস্তোভ-অন-দন এবং মস্কোর দিকে যাত্রা করেছিল। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শনিবার টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ওয়াগনারের কর্মকাণ্ডকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে বর্ণনা করেন। পরে বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো পুতিনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রিগোজিনের সঙ্গে আলোচনা করেন, যার ফলে ওয়াগনারের ইউনিটগুলোকে ক্যাম্পে ফিরে যায়।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ওয়াগনার বসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হবে। প্রিগোজিন নিজে বেলারুশে যাবেন। এছাড়া যারা বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিল ‘ফ্রন্টলাইন যোগ্যতার’ কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা না করার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৬ জুন ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:০৪