বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে হানিফ বলেন, ‘বিদেশি প্রভুর ষড়যন্ত্রে লাফালাফি করে কোনো লাভ হবে না। বঙ্গবন্ধু জীবনে কারও কাছে মাথা নত করেননি, মৃত্যু ভয়ে ভীত হননি। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও জয়গান গেয়েছেন। তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তিনিও বারবার মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গেয়ে গেছেন। এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার সৈনিক আমরা, কর্মী আমরা। আমাদের ভয় দেখান। আমরা রাজপথে লড়াই করে এই পর্যায়ে এসেছি।’
হানিফ আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এখন আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিদেশিরা আমাদের মানবতা, গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছেন,পাঠশালা খুলে বসেছেন। এই দেশে গণতন্ত্র, মানবতার পাঠশালা খুলেছেন কাদের নিয়ে? ওই বিএনপি-জামায়াত? তারা ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর কোথায় ছিল গণতন্ত্র, কোথায় ছিল মানবতা? শুধু নৌকায় ভোট দেয়ার কারণে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। ১০ হাজার মা-বোনকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল।’
আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্রের সবক দিতে হবে না উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘আপনারা (বিদেশি) গণতন্ত্র ও মানবতা হরণকারীদের নিয়ে পাঠশালা খুলে গণতন্ত্রের সবক দেন। আমাদের সবক দিতে হবে না। আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মিয়ানমারের ১০ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে পৃথিবীতে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। এরপর আর কোনো মানবতার সবক আমাদের দেখানোর আর দরকার নেই।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি ইতিহাসের নাম। এখন আর শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, অনুভূতির নাম। কারণ এই দেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে যা কিছু অর্জিত হয়েছে তা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের নেতাকর্মীদের শপথ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক চক্রান্ত আর এই দেশের যুদ্ধাপরাধীদের দোসর বিএনপিকে মোকাবিলা করে নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’