ডেস্ক নিউজ : রোববার (১৮ জুন) রাজধানীর গুলশানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় তিনি এ কথা বলেন। আরাফাত বলেন, ‘সামনে যত চ্যালেঞ্জ থাকে আওয়ামী লীগ ততই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগের ডিএনএর মধ্যেই এই বৈশিষ্ট। কয়েক মাসের জন্য অনুষ্ঠিত হলেও এই নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিরোধীশক্তি তৎপর আছে, তারা নৌকাকে হারাতে তৎপর। তবে শুধু নির্বাচনে জয়ী হওয়া নয়, ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসা আমাদের লক্ষ্য।’
ভোটের মাধ্যমে বিরোধীদের পরাজিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে বিদেশের কাছে ছোট করতে বিরোধী অপশক্তি তৎপর। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র দেশের বাইরেও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।‘সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে আমারা ভোটারদের আগ্রহ দেখছি। তারা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসছেন। প্রতিপক্ষ শত চেষ্টার পরও নিজেদের নেতাদের আটকে রাখতে পারছে না। তারা চলে আসছে নির্বাচনে। আমি হারলেও সেটা বড় বিষয় না; কিন্তু নৌকাকে হারতে দেয়া যাবে না। আমি আরাফাত কিছুই না; নৌকাকে হারতে দেব না, শেখ হাসিনাকে হারতে দেব না,’ বলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী।
এর আগে, ঢাকা-১৭ আসনের (গুলশান-বনানী-ভাষানটেক-সেনানিবাস) উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম ও রওশন এরশাদপন্থি জাতীয় পার্টির কাজী মামুনুর রশিদসহ আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এছাড়া অন্য সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন তিনি।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া অন্যরা হলেন: জাকের পার্টির প্রার্থী কাজী মো. রাশিদুল হাসান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তারিকুল ইসলাম ভূঞাঁ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আজম খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুসাউর রহমান খান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. মজিবুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আসাদুজ্জামান জালাল। যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে তারা হলেন: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরপন্থি সিকদার আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন, গণতন্ত্রী পার্টির চেয়ারম্যানপন্থি মো. কামরুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির মহাসচিবপন্থি অশোক কুমার ধর, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আকতার হোসেন ও তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। শূন্য হওয়া আসনটিতে গত ১ জুন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী আগামী ১৭ জুলাই হবে নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ১৫ জুন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৮ জুন এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ জুন।
কিউএনবি/আয়শা/১৮ জুন ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:১৫