খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার বাজারে প্রতিপক্ষের নির্মাণাধিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির নির্দেশে এই ভাংচুর করেছে বলে দাবী করেছেন পলি আক্তার নামে এক নারী। ঘটনা পরবর্তী পালং মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ডোমসার বাজারের ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, উপজেলার কোয়ারপুর গ্রামের হাচেন আলী মাদবর ও আমিন উদ্দিন দেওয়ানের দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাশাপাশি হওয়ায় সীমানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ইতোপূর্বে বিষয়টি নিয়ে কোর্টে মামলা ও পালং মডেল থানায় অভিযোগ হয়েছে। সবশেষে বাজার কমিটির ও ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে বিতর্কিত নির্মাণাধিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লোকজন নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছেন আমিন উদ্দিন দেওয়ানের মেয়ে পলি আক্তার।

পলি আক্তার বলেন, আমাদের ভিটি দখল করে হাসেন আলী মাদবর পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান মজিবর রহমান খান ও বাজার কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সহ বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মুরব্বিরা একাধিকবার সালিশী করেছে। কোন সমাধান না পেয়ে থানায় ও কোর্টে মামলা করেছি। সকল কিছু উপেক্ষা করে রাত-দিন নির্মাণ কাজ চালায় হাসেন আলী মাদবর। পরে বাজার কমিটি ও স্থানীয় চেয়ারম্যান শত শত মানুষের উপস্থিতিতে ভবন ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের নির্দেশে আমি লোকজন নিয়ে আমাদের অংশে যেটুক ভবন নির্মাণ করেছে সেটুক ভেঙ্গে ফেলেছি।
হাসেন আলী মাদবর বলেন, আমার দলিল ও জমির আয়াতন অনুযায়ি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করি। চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটি টাকা দাবী করে। টাকা না দেওয়ায় চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটি দেড়ফুট ছেড়ে ভবন নির্মাণ করতে বলে। আমি তাদের কথায় রাজী হইনি বলে ভবন ভেঙ্গে ফেলর হুকুম দিয়েছে।বাজার কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, প্রাথমিক ভাবে হাসেন আলী মাদবর ও আমিন উদ্দিন দেওয়ানের জমি পরিমাপ করে দেই। বাজারের পানি নিস্কাসনের জন্য দুই ভিটির মাঝে ২ ফুট জমি রাখা হয়। হাসেন আলী মাদবরের দাবী অনুযায়ী সেখান থেকে তাকে ৬ ইঞ্চি জমি বেশী দেওয়া হয়। তার পরেও অবশিষ্ট দেড় ফুট জমি বেশী দখল করে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। তাই বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের উপস্থিতিতে নির্মাণাধিন ভবন ভেঙ্গে ফেলার হুকুম দেই।
ডোমসার ইউনিয়ন পরিষরে চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খান বাজার কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খানের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে বলেন, অনিয় করার সুযোগ নাই। নিয়ম চালু রাখতে এই পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে।পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আক্তার হোসেন বলেন, ডোমসার বাজারে দোকান ঘর ভাংচুরের সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠাই। উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।
কিউএনবি/অনিমা/০২ এপ্রিল ২০২৩,/রাত ১১:০০