বিনোদন ডেস্ক : গোপালগঞ্জের রাঘধী গ্রামে আজ থেকে ৪৪ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেন মাসুদ রানা। সেসময় হয়তো তার পরিবারের অনেকেই ভাবতে পারেন নি যে তিনি একদিন ঢাকাই সিনেমাতে রাজ করবেন। না ভাবলেও সেটিই হয়েছে, মাসুদ রানা থেকে হয়ে উঠেন আজকের শাকিব খান।
আজ ঢাকাই সিনেমার এ সুপারস্টারের জন্মদিন। ঘড়ির কাঁটা ১২ পেরোতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে নানা মাধ্যমে সহকর্মী ও ভক্ত অনুরাগীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। দেখতে দেখতে জীবনের ৪৩ বসন্ত পার করে দিলেন অনায়াসেই। জন্মদিন নিয়ে ঘটা করে আয়োজন তিনি সচরাচর করেন না। এবারো নেই কোন আয়োজন। তবে ঘরোয়া আয়োজনে ছোট করেই অনুষ্ঠান করবেন।
১৯৯৯ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমা দিয়েই রূপালি পর্দায় আগমন ঘটে এ নায়কের। সে সময়ই নিজের নাম পাল্টে মাসুদ রানা থেকে শাকিব খান হয়ে উঠেন তিনি।
নিজের এই নামের প্রসঙ্গে শাকিব জানিয়েছিলেন, সোহানুর রহমান সোহান ভাইসহ প্রথম সিনেমার ইউনিট বেশ কয়েকটি নাম পছন্দ করেছিলেন। সেখান থেকে আমিই শাকিব খান নামটি পছন্দ করেছিলাম।
প্রথম সিনেমাতে তেমন সাফল্য না পেলেও পরিচালকদের নজর কাড়েন শাকিব। এক বছরের মধ্যেই শাবনূর, পপি, পূর্ণিমা, মুনমুন তখনকার সেরা ৪ নায়িকার সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। তাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে নিজেকে আলোচনায় নিয়ে আসেন। ‘আমার স্বপ্ন তুমি’ সিনেমাটি তার ক্যারিয়ারে অন্য মাত্রা যোগ করে। ছবিটি সাফল্য পায়, সেইসাথে নায়ক হিসেবে পান বেশ পরিচিতি। এরপর ‘কোটি টাকার কাবিন’ সিনেমা তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। একক নায়ক হিসেবে দর্শকমহলে হয়ে উঠেন জনপ্রিয়। এরপর থেকে একের পর সিনেমায় দর্শকপ্রিয়তা পেতে থাকেন।
২০০৮ সালে নায়ক মান্নার মৃত্যুর পর শাকিব খানকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। জনপ্রিয় নায়ক থেকে হয়ে উঠেছেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও কাজ করেছেন শাকিব। কলকাতায় শিকারী, নবাব, ভাইজান এলোরে’র মতো সিনেমায় কাজ করে সেখানেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। জুটি বেঁধেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় নায়িকাদের সাথে।
নায়কের বাইরে ২০১৪ সালে ‘হিরো দ্য সুপারস্টার’ সিনেমার মাধ্যমকে প্রযোজনায় নাম লেখান শাকিব। এরপর ‘পাসওয়ার্ড’ ও ‘বীর’ সিনেমা প্রযোজনা করেন তিনি। ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে শাকিব জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ৪ বার।
কিউএনবি/আয়শা/২৮ মার্চ ২০২৩,/বিকাল ৫:২০