রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
পরিবারে সুখ ফেরাতে বিদেশে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন শার্শার রনি শার্শায় গৃহবধূকে গনধর্ষণের অভিযোগ কোম্পানীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তরুণের মৃত্যু মনিরামপুর প্রেসক্লাবের দাতা সদস্যের বোনের ইন্তিকাল মনিরামপুরে রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা আটোয়ারীতে কিন্ডারগার্টেনের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সনদপত্র বিতরণ পাঁচদোনা টু ডাঙ্গা চারলেন সড়ক অপরাধীদের অভয়ারণ্যে  চৌগাছায় শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত দৌলতপুরে প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনের দাফন সম্পন্ন চৌগাছায় ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে বিএনপি নেতাকে পিটিয়েছে প্রতিবেশী পুলিশ সদস্য

ইফতারে রাখুন ফলমূল

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩
  • ১০৪ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : রোজাদারদের বেশ কিছু খাদ্য গ্রহণের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। অনেক রোজাদার রমজান মাসে তাদের কায়িক শ্রমের পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে দিয়ে কিছুটা অলস জীবনধারা পালন করতে থাকেন, যা আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বৈকি। রমজানে বছরের অন্যান্য সময়ের মতো কর্মচাঞ্চল্যতা বজায় রাখতে হবে।

রমজান মাসে রোজদাররা অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি ও শক্তিদায়ক খাদ্যবস্তু দ্বারা আহার সম্পন্ন করে থাকেন। যেমন রমজান মাসে তেল, চিনি, মিষ্টি ও পাকা ফল খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তেল, চিনি, মিষ্টি ও পাকাজাতীয় ফলে ক্যালরির (শক্তির) পরিমাণ বেশি থাকায় এসব খাদ্যবস্তু অধিক পরিমাণ গ্রহণ করলে ওজন বৃদ্ধি ঘটে থাকে। তাই রমজান মাসে খাদ্যবস্তু গ্রহণে একটু হিসাবি হলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

ইফতারের সময় বেশি করে পানি গ্রহণ স্বাস্থ্যসম্মত, কারণ সারাদিন রোজা রাখার ফলে শরীরে পানির অনেক ঘাটতি দেখা দেয়। এছাড়া ইফতারে থাকতে হবে শসা, খিরা, পেয়ারা, তরমুজ, টমেটো ও নাশপাতির মতো ফল। এর সঙ্গে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাদ্যবস্তু, মুড়ি, জিলাপি, ফিরনি, পায়েস, পাকা আম ও কাঁঠাল ইত্যাদির পরিমাণ একটু কম করে গ্রহণ করতে হবে।

রাতের খাবার সহজপাচ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়, কারণ রাতের খাবার ও সাহরির মাঝে সময় খুব কম হওয়ায় সহজপাচ্য খাদ্য গ্রহণের ফলে সাহরির খাবারের সময় ক্ষুধা থাকে এবং সাহরিতে একটু বেশি পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করা যায়। রাতের খাবারে ভাত, মাছ, সবজি ও ডালজাতীয় খাদ্য স্বাস্থ্যসম্মত। রাতের খাবার রাত ১০-১১টার মধ্যে খেয়ে ফেলা ভালো। সাহরির খাবার একটু দেরিতে গ্রহণ করা ভালো। 

সাহরিতে এমন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করা উচিত যেসব খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়, যেমন- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডালজাতীয় খাদ্যবস্তু। সাহরিতে ভাত রুটি ও মিষ্টিজাতীয় খাদ্যবস্তু কম পরিমাণে গ্রহণ করে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও সবজির পরিমাণ বেশি গ্রহণ করলে দিনের বেলায় রোজাদার ব্যক্তিরা কর্মচঞ্চল থাকতে পারবেন এবং রোজায় ওজন বৃদ্ধি রহিত করতে পারবেন।

রমজান মাসে অনেকেই শাকসবজি গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে দেয়, যেটা মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। মনে রাখতে হবে যে, কী ধরনের খাদ্যবস্তু ওজন বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে যেমন- ভাত, আলু, চিঁড়া, মুড়ি, বিস্কুট, মিষ্টি দধি, সুজি, ফিরনি, পায়েশ, কেক, পাউরুটি, নুডলস, চিনি, তৈলাক্ত খাবার, সফ্ট ড্রিংকস ও বোতলজাত ফলের রস। এসব খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করলেই রমজানে ওজন বৃদ্ধি থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে। তাই এসব বিষয়ে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে।

লেখক : চিফ কনসালটেন্ট, শমশের হার্ট কেয়ার, শ্যামলী, ঢাকা।

কিউএনবি/অনিমা/২৫ মার্চ ২০২৩,/দুপুর ২:৫৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit