ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন মতে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রচারের সময় রাহুল গান্ধী স্লোগান তোলেন, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ শানাতেই এ স্লোগান তোলেন তিনি। প্রচারণার ধারাবাহিকতায় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেন, ‘সব মোদিরা কেন চোর হয়?’ এ কথার মাধ্যমে তিনি মূলত নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নীরব মোদি নামে ভারতের বহুল আলোচিত এক প্রতারককে বোঝাতে ওই মন্তব্য করেন।
তবে এতে ‘মোদি’ পদবির সকলের অপমান হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এ মর্মে গুজরাটের সুরাটের আদালতে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সেই মামলার রায় দেন আদালত। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে লোকসভার সদস্যপদ হারান রাহুল। তার পদ হারানোর পরপরই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির নতুন ভারতে বিরোধীদলীয় নেতারা বিজেপির প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন!’
পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘একদিকে ফৌজদারি অপরাধের রেকর্ড থাকা বিজেপি নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, অন্যদিকে বিরোধী নেতাদের শুধুমাত্র তাদের বক্তব্যের কারণে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা করা হচ্ছে।’এদিকে, রাহুল গান্ধীর পক্ষে মুখ খুললেও ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে রাহুল এবং মমতার দলের পথ ভিন্ন। দুটি দলই কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে সরাতে মরিয়া হলেও কেউই কারো সঙ্গে জোট বাঁধতে রাজি নয়। এক সময়ের যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যভিত্তিক দলগুলোকে নিয়ে জোট গড়ার চেষ্টা করছেন। কংগ্রেসও এককভাবে কিংবা সমমনাদের সঙ্গে জোট বেধে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৪ মার্চ ২০২৩,/রাত ৯:১৫