শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৬ অপরাহ্ন

৭ই মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধুর অমর রচনা, বাঙালির মহাকাব্য: আরিফ মোহাম্মাদ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৮ মার্চ, ২০২৩
  • ১২২ Time View

ডেস্ক নিউজ : ৭ই মার্চ উপলক্ষে আগরতলার বাংলাদেশ দূতালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন সহকারী হাই কমিশনার। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় দূতালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সকাল পৌনে ১০টায় জাতির পিতা, তার পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতির পিতা, তার পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য দেন মিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ, মহান মুক্তিযুদ্ধের মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত শ্যামল চৌধুরী, মহান মুক্তিযুদ্ধের মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত স্বপন ভট্টাচার্য, সাহিত্যিক ও শিক্ষানুরাগী ড. আশিষ কুমার বৈদ্য, আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত কুমার ভট্টাচার্য, আগরতলা আইএলএস হসপিটালের সিইও ডা. ভারবি চট্টোপধ্যায় এবং ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তরের উপপরিচালক (অব.) ফারুকুল ইসলাম প্রমুখ।

মিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. রেজাউল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ। বক্তব্যে তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারা ২ লাখ মা বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম এবং ১৯৭১ সালের এ দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ছিলেন। পুরো বাঙালি জাতি সেদিন মন্ত্রমুগ্ধের মতো অবগাহন করেছিল রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধুর অমর কবিতা। মাত্র ১৮ মিনিটের এ মহাকাব্য ধ্বনিত হয়েছিল বাঙালি জাতির মুক্তির মহামন্ত্র ‘স্বাধীনতা’। বঙ্গবন্ধুর শাণিত ও প্রদীপ্ত উচ্চারণে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের মসনদ।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ঐতিহাসিক ব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে গবেষণা করছেন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর ভিতর এক ব্যতিক্রমী ভাষণ হলো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, যা ছিল সম্পূর্ণ অলিখিত। সেদিন তিনি যখন স্টেজে উঠে বক্তৃতা শুরু করলেন, মনে হলো তিনি যেন বাঙালি জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মহাকাব্যটি রচনা করছেন। ৭ মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধুর অমর রচনা, বাঙালির শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য, যেটি বাঙালি জাতির সংগ্রাম ও স্বাধীনতার লালিত স্বপ্ন থেকে রচিত।

সহকারী হাইকমিশনার বলেন, যুগে যুগে সব সমাজের নিপীড়িত, নির্যাতিত এবং স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষকে উৎসাহ-উদ্দীপনা আর অনুপ্রেরণা জোগাবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’য় পরিণত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। এই স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ডাক দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৮ মার্চ ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:২১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit