শহিদ আহমেদ খান সাবের,সিলেট প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি অম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। একটি মহল সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য নানা কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশে প্রতিটি ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, নিজ নিজ ধর্ম সঠিক ভাবে পালন করলে সমাজ অন্যায় ও অপরাধমুক্ত হবে। কোন ধর্মের হিংস বিদ্বেষ নেই। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান।এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ,শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ১৮৮তম আবির্ভাব তিথি ও বার্ষিক উৎসব উপলক্ষে সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে ৪ দিনব্যাপী ব্যাপক অনুষ্ঠানমালার শেষ দিন সন্ধ্যা ৬টায় ‘যত মত তত পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী চন্দ্রনাথানন্দজী মহারাজ স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে সূচিত অনুষ্ঠানে এডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য্য’র সভাপতিত্বে সম্মানীত অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটস্থ ভাতীয় দূতাবাসের সহকারী হাই-কমিশনার নীরাজ কুমার জায়শাল। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম ফতেহাবাদ চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণব্রতানন্দ।মিশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অরুপ বিজয় চৌধুরীর উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সিলেটের উপ-পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম, বৌদ্ধ বিহার সিলেটের অধ্যক্ষ স্বাশী সংঘানন্দ থেরো প্রমুখ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালনা কমিটির সদস্য ডাঃ পরেশ দেবনাথ।অনুষ্ঠানে অজিত বীনা দত্ত ট্রাস্টের আর্থিক সহযোগিতায় ৪০ জন শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকা করে ২ লক্ষ টাকা শিক্ষবৃত্তি বিতরণ করেন প্রধান অতিথি সহ অতিথিবৃন্দ।
আজীব শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের জন্য সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী চন্দ্রনাথানন্দজী মহারাজ এর হাতে ৭০ লক্ষ টাকা চেক প্রদান করেন অজিত বীনা দত্ত ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অীজত বীনা দত্তের বড় ছেলে কানাডা প্রবাসী অলক দত্ত।পরে রাত ৮টায় নীলাঞ্জন দাস টুকুর পরিচালনায় ও কথাকলি সিলেটের পরিবেশনায় নাটক অনুষ্ঠিত হয়।এর আগে উৎসবের শেষ দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টায় পদ্মিনী রায় ইমনের পরিবেশনায় গীতি আলেখ্য। বেলা সাড়ে ১১টায় নাট্যম সঙ্গীত বিদ্যালয় কাজলশাহ সিলেটের পরিবেশনায় সঙ্গীতাঞ্জলি। দুপুর ১টায় কবিরতœ মণি নাথ কৃষ্ণাল বাহুবল হবিগঞ্জের পরিবেশনায় রামায়ণ গান। বিকেল ৪টায় প্রণতি ভট্টাচার্য্য সিলেটের পরিবেশনায় গীতি আলেখ্য অনুষ্ঠিত হয়।বৃহত্তর সিলেটের সকল শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্ত সজ্জনদের উপস্থিতি ও সার্বিক সহযোগিতায় সুষ্ঠভাবে ৪ দিনব্যাপী বার্ষিক শেষ হওয়ায় সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী চন্দ্রনাথানন্দ মহারাজ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
কিউএনবি/অনিমা/২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/রাত ৯:০৭