এম রায়হান চৌধুরী ,চকরিয়া প্রতিনিধি : সিংহ ‘রাসেল’ ও সিংহী ‘টুম্পা’। তারা পরস্পর ভাই-বোন। উভয়ের জন্ম চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। ২০০৭ সালে রাসেল ও ২০০৮ সালে সিংহ টুম্পা জন্মগ্রহণ করেন। ভালোই কাটছিলো তাদের দিনকাল। হঠাৎ -খাবার ছেড়ে দেয় তারা।শারিরের ওজন কমতে থাকে রাসেল ও টুম্পার। চিকিৎসা নিতে হচ্ছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের। সনাক্ত হয় ভাই-বোনই এনাপ্লাজমা ও বিউবমিয়া স্পিসিসে আক্রান্ত।শত চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি তাদের। ২১দিনের ব্যবধানে মারা যায় রাসেল ও টুম্পা। তন্মধ্যে টুম্পা মারা যায় মঙ্গলবার (২১ ফেব্রæয়ারি) সকাল ৮টায়। এর আগে ৩১ জানুয়ারি মারা যায় ভাই রাসেল। এনিয়ে গত এক বছরে সাতটি প্রাণী মারা গেলো।টুম্পার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের চট্টগ্রামের বিভাগীয় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও চকরিয়াস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম।
মাজাহারুল ইসলাম বলেন, গত দ্ইু মাস আগে সিংহ রাসেল ও সিংহী টুম্পা রোগে আক্রান্ত হয়। প্রথমে পার্কের ভেটেরেনারি সার্জন চিকিৎসা করলেও দুই সিংহের শারিরিক অবস্থার অবণতি ঘটতে থাকে। ফলে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে মেডিকেল বোর্ড।এই মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এ্যানিমল সাইসেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.বিবেক চন্দ্র সুত্রধর। তাদের তত্ববধানে চিকিৎসা চলাকালে ৩১ জানুয়ারি রাতে মারা যায় সিংহ রাসেল। অপর আক্রান্ত টুম্পা মারা যায় মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, টুম্পার মৃত্যুর পর মঙ্গলবার চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
এরপর চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও পার্কের ভেটেরেনারি সার্জনের নেতৃত্বে সিংহী টুম্পার ময়নাতদন্ত করা হয়। এদিন বেলা ২টার দিকে মৃত সিংহী টুম্পার মরদেহ পার্কে মাটিতে পুতে ফেলা হয়।বিভাগীয় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি বার্ধক্য জনিত কারণে সিংহী টুম্পা মারা গেছে। মৃত টুম্পার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক তথ্য জানা যাবে।
কিউএনবি/অনিমা/২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/দুপুর ২:২৫