ডেস্ক নিউজ : ইসলামের অলৌকিকতার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন শবে মেরাজ। মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মেরাজের রাতে মহান আল্লাহ তা’লার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন। তার উম্মতের জন্য নিয়ে এসেছিলেন বরকতময় ফরজ ইবাদত নামাজ।
গ্রহণযোগ্য মত অনুযায়ী, আরবি রজব মাসের ২৭ তারিখ রাতে মহানবী পবিত্র হারাম শরিফ থেকে প্রথমে বাইতুল মুকাদ্দাসে যান। সেখানে দুই রাকাত নামাজে সব নবীর ইমামতি করেন। পরে হজরত জিবরাঈল (আ.) তাকে বিশেষ বাহন বোরাকের মাধ্যমে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যান। সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে আরশে আজিমে আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেন, যা মেরাজের রাত নামে পরিচিত।
এ রাতে মহানবী জান্নাত এবং জাহান্নাম নিজের চোখে দেখেছেন। মেরাজের রাতে মহানবীর মাধ্যমে বান্দাদের জন্য নামাজ উপহার দেন মহান আল্লাহ তা’লা। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি এহসানুল হক জিলানী বলেন, ‘আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, দোস্ত আমার জন্য আপনি কী নিয়ে এসেছেন? তখন মহানবী বলেছেন, আমি ও আমার উম্মতের জানমালের যত ইবাদত আছে, সব আপনার জন্য হাদিয়া হিসেবে নিয়ে এসেছি। এতে আল্লাহ তা’লা খুশি হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ রাতেও আমরা আমল করতে পারি। আগামীকালও করতে পারি। কিন্তু ধরাবাঁধা যে শুধু আজকেই করতে হবে, এমন হওয়া উচিত না।’ইসলামী চিন্তাবিদ কারও যদি পেছনে সমালোচনা করার অভ্যাস থাকে, তার শাস্তি কেমন হতে পারে, সেটা মহানবীকে আল্লাহ দেখিয়েছেন। নামাজের বিধান আল্লাহ তা’লার কাছে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে সেটা তিনি তার কাছে নিয়ে মহানবীকে দিয়েছেন।
এ ছাড়া শিরক না করা, আমানত রক্ষা, যেনা-ব্যাভিচার থেকে দূরে থাকাই শবে মেরাজের প্রকৃত তাৎপর্য বলে মনে করেন ইসলামী চিন্তাবিদরা।
কিউএনবি/আয়শা/১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৫:০৫