আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম ইউরো নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নজিরবিহীন দুর্যোগে দেশটির মানুষ যখন দিশেহারা, সে সময় তুরস্কের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শহরে লুটপাটের ঘটনাও ঘটছে। গোষ্ঠীগত সংঘাত ও লুটপাট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। তুরস্কে উদ্ধারকাজ সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানির দুটি সংস্থা। কারণ হিসেবে তারা একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের কথা জানায়। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজনও লুটপাটের অভিযোগ করেছেন।
এ পরিস্থিতিতে বন্দরনগরী ইসকেনদেরুনের মোবাইল ফোন ও অলংকারের দোকানের নিরাপত্তায় বাণিজ্যিক সড়কগুলোর মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লুটপাটকারীদের কঠোর শাস্তি দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এরই মধ্যে ভূমিকম্পের পর লুটপাটের অভিযোগে ৮টি প্রদেশ থেকে ৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ভূমিকম্পে সিরিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। এ অঞ্চলের বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে হায়াত তাহরির আল-শাম ‘এইচটিএস’ নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। জাতিসংঘ জানিয়েছে, অনুমোদন না পাওয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের কাজ ঝুলে আছে।
এদিকে এইচটিএসের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, বাশার আল আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত কোনো অঞ্চল থেকে ত্রাণবাহী বহর ঢুকতে দেবে না তারা। তবে উত্তরাঞ্চলে তুরস্ক থেকে ত্রাণ আসতে কোনো বাধা দেয়া হবে না বলেও জানায় গোষ্ঠীটি।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৭:৫৮