শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন

দৌলতপুরে এমপির বাড়ীর পাশে পদ্মায় বালি উত্তোলনের মহা উৎসব

মো. সাইদুল আনাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ।
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৫৯ Time View

মো. সাইদুল আনাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সংসদ সদস্য এ্যাড. আ: কা: ম: সরওয়ার জাহান বাদশাহ্’র বাড়ী থেকে প্রায় এক হাজার গজ দুরে অবস্থিত পদ্মা নদী থেকে অবাধে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের মহা উৎসবে মেতেছে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে পদ্মার তীরে সরকারের শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর কামার পাড়ার নিচে চলছে পদ্মা থেকে অবৈধভাবে এই বালি উত্তোলন। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে জন-সাধারনের মনে।

স্থানীয় এলাবাসীরা জানান, এমপির বাড়ীর পাশে পদ্মা নদী থেকে ফিলিপনগর গ্রামের সোহেল রানা ওরুফে রসুন রানা, মাহাবুব মাষ্টার, আঃ রশিদ, সাবেক মেম্বার কালাম, শিপন সবজিসহ ক্ষমতাশীল দলের স্থানীয় নেতা কর্মীরা মিলেমিশে পদ্মা নদী থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১’শ থেকে ১৫০’শ ট্রলি বালি উত্তোলন করছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এই অবৈধ বালি উত্তোলনের সাথে যারা জড়িত তারা এতটাই প্রভাবশালী যে বাধা প্রদান বা প্রতিবাদ করার মত সাহস কারো নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ক্ষমতাশীল দলের নেতা মাহাবুব মাষ্টার ও সোহেল রানা ওরুফে রসুন রানা পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের মুল হোতা বলে জানান তারা।

এব্যাপারে ক্ষমতাশীল দলের ঐ এলাকার স্থানীয় নেতা মাহাবুব মাষ্টারের সাথে কথা বললে তিনি বালু উত্তোলনের বিষয়টি অ¯ী^কার করে বলেন, রসুন রানা জড়িত থাকতে পারে বলে জানান তিনি। অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ব্যাপারে সোহেল রানা ওরুফে রসুন রানার সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার তার সেল ফোনে কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান ফিলিপনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাঈম উদ্দিন সেন্টু বালি উত্তোলনের বিষয়টি সত্য বলে জানান। তবে কে বা কারা কোন ক্ষমতার জোরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে দৌলতপুরের সংসদ সদস্য এ্যাড. আ: কা: ম: সরওয়ার জাহান বাদশাহ্’র নিকট সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা আমি ইউএনও কে বলেছি, ওসি কে বলেছি। তিনি আরোও বলেন, আমি একদিনের জন্য বাড়ী গিয়েছিলাম, দুইটা যায়গা একটা বৈরাগীচর আর একটি আবেদের ঘাটের নিচে এই দুইটা যায়গায় শুনেছি আমি, রাতের অন্ধকারে তুলে এগুলো।

দিনের আলোতে বালি উত্তোন করা হয় এটা আপনি জানেন কিনা? কিংবা আপনার পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে এমপি আরোও বলেন, পদক্ষেপ হিসেবে বার বার নিষেধ করা হয়েছে যে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কোন প্রয়োজন নাই এটা আমাদের নোটিশের বাইরে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল জব্বার বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন তিনি।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৪:৩২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit