ডেস্ক নিউজ : বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাশেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ফল আমদানি নিয়ে চলমান সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ফলের প্রচুর ফলন হচ্ছে। নিজেদের পণ্যেরও ভালো দাম পাওয়া দরকার।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের দেখতে হচ্ছে যেন বৈদেশিক মুদ্রায় অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। যে জন্য এলসি একটু রেসট্রিক্ট (সীমিত) করা হয়েছে। পরিস্থিতি একটু উন্নত হলেই সেটি (এলসি) খুলে দেয়া হবে।’
এখন ডলার সাশ্রয় করা প্রয়োজন মন্তব্য করে বাণিজমন্ত্রী বলেন, ‘তাই আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে যেটি অপরিহার্য, সেটি আমদানিতেই বেশি জোর দিচ্ছি।’ রমজান সামনে রেখের পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসেই টিসিবির জন্য আমাদের পণ্য কিনতে হচ্ছে। রমজান সামনে রেখেই একটু বেশি কিনতে হচ্ছে।’রোজায় পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে কি না— এ প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির সভায় যে পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেটি টিসিবির জন্য। ওই পণ্য এক কোটি মানুষকে দেয়া হবে। এটি তো আমরা নিয়মিত দিয়েই যাচ্ছি।’
এ সময়ে রমজানে কোনো সমস্যা অর্থাৎ পণ্য সংকট হবে না বলে তিনি আশ্বাস দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। এ ছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ছাড়া উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কিউএনবি/আয়শা/০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৪:০৮