আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিশুটিকে ‘অলৌকিক’ বলা হচ্ছে। কারণ জন্ম নেয়ার পরপরই মাকে হারিয়েছে সে। কিন্তু তার কোনো ক্ষতি হয়নি। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ ঘটনা উঠে এসেছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ৭.৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। তুরস্কের স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিরিয়াও। হাজার হাজার ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যার নিচে চাপা পড়েছে অসংখ্য মানুষ। তাদের উদ্ধারে সোমবার সকাল থেকেই নিরবচ্ছিন্ন অভিযান চলছে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সেই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, সিরিয়ায় একটি বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে একটি নবজাত শিশু উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হওয়া ছোট ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একজন উদ্ধারকারী নবজাতকটিকে দুই হাত দিয়ে ধরে বাইরে নিয়ে আসছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ার আফরিনে নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আফরিন অবস্থিত। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, শিশুর মা ওই ভবনে শ্রমিকের কাজ করতেন। কিন্তু ভূমিকম্পের বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়েন। এরপর সেখানেই সন্তান জন্ম দেন তিনি। কিন্তু উদ্ধারের আগেই তিনি মারা যান।
শিশুটির উদ্ধারের ওই ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেছেন হোসাং হাসান নামের এক সিরীয় সাংবাদিক। তিনি লিখেছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে এক প্রসূতিকে উদ্ধারের সময় শিশুটির জন্ম হয়। এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পাওয়া নবজাতকের এই দৃশ্য তার মাথা থেকে যাচ্ছে না। এই মর্মান্তিক ভূমিকম্পে তার হৃদয় ব্যথিত।
কিউএনবি/আয়শা/০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/রাত ৯:৩০