ডেস্ক নিউজ : বগুড়ার ধুনটে ভাত তুলে না দেওয়ায় মাথায় গাছের ডালের আঘাতে মা আলতাফুন্নেছাকে (৬৫) হত্যার দায়ে ছেলে মাদকাসক্ত আবু বক্করকে (৩০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুরে বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হাবিবা মণ্ডল জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি নাসিমুল করিম হলি বিকালে এ তথ্য দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, বগুড়ার ধুনট উপজেলার শৈলমারী গ্রামের মৃত হবিবর আকন্দের ছেলে আবু বক্কর ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিলেন। নেশা অবস্থায় তিনি গত ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে বাড়িতে ফেরেন। এরপর তিনি ভাত দেওয়ার জন্য মা আলতাফুন্নেছাকে ডাক দেন। বিরক্ত মা তাকে ভাত তুলে নিয়ে খেতে বলেন। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে আবু বক্কর ক্ষিপ্ত হয়ে পাশে থাকা ইউক্যালিপটাস গাছের ডাল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। অচেতন অবস্থায় আলতাফুন্নেছাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে বড় ভাই শাহ আলম ধুনট থানায় আবু বক্করের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ১৬ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে প্রেরণ করে। এর আগে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার তৎকালীন এসআই রফিকুল ইসলাম ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রোববার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে উল্লিখিত রায় ঘোষণা করেন। গ্রেফতারের পর থেকে আবু বক্কর জেলহাজতে আছেন। আসামি পক্ষে স্টেট ডিফেন্স অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন মামলা পরিচালনা করেন।
কিউএনবি/অনিমা/০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/রাত ১০:২২