আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ষাটের দশকে বিশ্বজুড়ে মানুষের বিমান ভ্রমণ বাড়তে থাকলে প্রয়োজন দেখা দেয় বড় উড়োজাহাজের। যা একসঙ্গে ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ বহন করতে পারবে। সেসময় জ্বালানি খরচ কমিয়ে বেশি আসন সংখ্যার বিমান খুঁজছিল এয়ারলাইন্সগুলো। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্যান অ্যাম এয়ারলাইন্সের প্রতিষ্ঠাতা বিমান তৈরির চ্যালেঞ্জ দিলে এভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ার জো সাটারের নেতৃত্বে মাত্র ২৮ মাসেই প্রস্তুত হয় বোয়িং-বোয়িং সেভেন ফোর সেভেন। যা ১৯৬৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো আকাশে উড়ে। ১৯৭০ সালের ২২ জানুয়ারি শুরু হয় সেভেন ফোর সেভেনের বাণিজ্যিক যাত্রা।
তারপর কেটে গেছে পাঁচ দশক, বাজারেও এসেছে নতুন অনেক মডেলের বিমান। এবার নতুন নতুন এসব বিমানের মধ্যে থেকে এবার হারিয়ে যাচ্ছে জাম্বো জেট বিমান বোয়িং সেভেন ফোর সেভেন। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এই মডেলের সবশেষ বিমানটি সরবরাহ করা হয়েছে আটলাস এয়ারকে।
কর্তৃপক্ষের বরাতে জানা যায়, ৫ দশকে বিপুল সাফল্য এনে দিলেও গেল ১৫ বছর লোকসানের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বোয়িং। এতে লোকসান ঠেকাতেই বিমান তৈরি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিন বোয়িং সেভেন ফোর সেভেনকে বিদায় জানাতে জড়ো হয়েছিলেন শত শত কর্মী। স্মৃতি ধরে রাখার জন্য বিমানটির সঙ্গে ছবিও তুলতে দেখা যায় অনেককে।
বোয়িং-এর এক কর্মী বলেন, কত সুন্দর একটি বিমান। আর কখনো বানানো হবে না বলতেই আমার খুবই খারাপ লাগছে । কারণ দীর্ঘ দিন এ বিমান বানানোর কাজে নিয়োজিত ছিলাম। তবে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে আমি অবশ্যই সম্মান জানাই। তবে, উৎপাদন থেমে গেলেও বাজারে এখনো সচল রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪০০ বোয়িং সেভেন ফোর সেভেন। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায় আরও বেশ কয়েক বছর আকাশে দেখা যাবে এই বিমানটিকে।
কিউএনবি/আয়শা/০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৭:৩৫